শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ফুটবলের দেশে ইসলাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

1465378286ওয়ালি খান রাজু : ব্রাজিল নামটা শুনলেই ফুটবলের নাম মাথায় আসে। পেলে, জিকো, রোনালদো, রিভালদো, নেইমার ব্রাজিলকে দুনিয়াব্যাপী ফুটবল দিয়েই পরিচিত করিয়েছেন। ফুটবল ছাড়াও ব্রাজিলের রয়েছে সমৃদ্ধশালী অর্থনীতি।

ভবিষ্যৎ বিশ্বকে নেতৃৃত্ব দিতে পারে এমন কয়টি দেশের মধ্যে ব্রাজিল অন্যতম। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে রমজান, ঈদ এসব কি হয় তা হয়ত অনেকের কৌতুহলী মনে প্রশ্ন জাগতে পারে।

আমাজনের দেশ ব্রাজিলে রয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ মুসলিম। ব্রাজিলে ইসলাম এসেছে আরব, আফ্রিকান, লেবানীজ, সিরিয় মুসলিমদের হাত ধরে। ব্রাজিলে ইসলাম প্রচার প্রসারে যাদের অবদান অপরিসীম তারা হলেন, আফ্রিকান বাহিয়ারা।

উল্লেখ্য, যে উনবিংশ শতাব্দীতে আফ্রিকান মুসলিমরা বাহিয়া নামে পরিচিত ছিল। ব্রাজিল ছিল পর্তুগীজদের কলোনি। পর্তুগিজ ডাকাতদের স্বর্গরাজ্য ছিল আজকের ব্রাজিল, পর্তুগীজরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আফ্রিকানদের ধরে আনত ব্রাজিলে আখ চাষের জন্য আর তাদের দাস বানাত, আর এসব আফ্রিকান দাসরা অধিকাংশই ছিল মুসলিম। দাসদের মানুষই মনে করত না পর্তুগীজ লাটসাহেবরা, এসব দাসদের উপর চলত অকথ্য নির্যাতন, আফ্রিকান মুসলিম দাসরা তখন ইসলামের সুমহান সাম্য, সমতা আর শ্রমিক মর্যাদার বাণী সারা ব্রাজিল ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন।

১৮০০ শতাব্দীতে আফ্রিকান দাসদের হাত ধরে স্বাধীনতার জন্য দাস বিদ্রোহের ডাক আসে আর এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে অনেক মুসলিমই নেতৃত্বে ছিল বলে ইতিহাস আমাদের জানায়। ১৯০০ সালে ব্রাজিলে মুসলিম সংখ্যা ১ লাখে রুপ নেয় আর ২০১০ সালের জরীপ অনুযায়ী সেই সংখ্যা এখন দশ লক্ষতে রুপ নিয়েছে। বর্তমান ব্রাজিলে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম এখন ইসলাম। ফুটবলের দেশে সাও পাওলো আর রিও ডি জেনিরো মুসলিম অধ্যুষিত শহর। রিও ডি জেনিরোতে রয়েছে বৃহৎ ইসলামিক সেন্টার, ইসলামিক স্কুল, অনেকগুলু বড় মসজিদ। সাও পাওলোতেও রয়েছে বিশাল মুসলিম কমিউনিটি। এছাড়া আরেক শহর পারানাতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মুসলিম সম্প্রদায়।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রভাষা পর্তুগীজ তাই ব্রাজিলিয়ানদের কুরআন পড়তে সুবিধার্থে পর্তুগীজ ভাষায় কুরআন অনুবাদ করা হচ্ছে। এর জন্য সাওপাওলো তে রয়েছে একটি কুরআন অনুবাদ সেন্টার। ব্রাজিলের মুসলিমরা কর্মক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই। সংবাদ মাধ্যম, ফুটবল, স্কুল শিক্ষকতা, সাহিত্য চর্চায় অনেক মুসলিমের নামই উল্লেখযোগ্য।

ফ্যাবিও কারভালহো, মার্সিও সুজা দ্যা সিলভা এ দুইজন মুসলিম ব্রাজিলের ফুটবল জগতে নাম করেছেন। এছাড়া জিহাদ খুরদি সার্ফিংয়ে এবং ওয়ালিদ ইসমাইল মার্শাল আর্টে ব্রাজিলিয়ান মুসলিম হিসেবে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছেন।

রমজান মাস আসলে ব্রাজিলের মুসলিমরা একসাথে তারাবীহ, ইফতার সম্পন্ন করেন। রমজান মাসে ব্রাজিলের মুসলিম পরিবারগুলোতে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ