শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
শেষ হলো ইফার পক্ষকালব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানমালা সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল ৭৫ জনের রপ্তানি সত্ত্বেও ভারতে পাচার হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ দেশের মানুষ আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না: পীর সাহেব চরমোনাই বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১

লাশ নেয়নি কেউ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

gulshan12আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জিম্মি উদ্ধার অভিযানে নিহত ছয়জনের লাশ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হয়েছে। লাশ কেউ নিতে আসেননি বলে জানায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র।

লাশের ময়নাতদন্তে জানা গেছে, চারজন গুলিতে এবাং দুজন গুলি ও বোমার আঘাতে মারা গেছে। লাশ নিতে হলে তা পুলিশের মাধ্যমে নিতে হবে। নিহত কয়েকজনের পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁদের পরিবারের সন্তানদের ঘটনায় তাঁরা লজ্জিত, মর্মাহত। সবাই ভেঙে পড়েছে। তাই কেউ লাশ আনতে যাননি।

পুলিশের আইজিপি বলেন, 'অভিযানে যেসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন তারা সকলেই তালিকাভুক্ত 'জঙ্গি'। জঙ্গি নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হবে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ঐক্যমত গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।'

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে গুলশানে হলি আর্টিজান নামের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁয় সাতজন সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা রেস্তোরাঁটিতে ঢুকে দেশি-বিদেশি অনেক লোককে জিম্মি করে। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর 'থান্ডার বোল্ট' কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে জিম্মি সঙ্কটের অবসান হয়। পুরো ঘটনায় ২০ জিম্মি, ছয় সন্ত্রাসী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন এবং কমপক্ষে ৪০ জন পুলিশ আহত হন।

নিহত সন্ত্রাসীদের ব্যক্তিগত পরিচয়

রোহান: রোহান ইবনে ইমতিয়াজের বাবা এস এম ইমতিয়াজ খান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা। ঢাকার স্কলাসটিকা থেকে ‘এ’ লেভেল শেষ করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন রোহান।

মোবাশ্বের: বাবা মীর এ হায়াৎ কবির একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে চাকরি করেন। মীর সামেহ মোবাশ্বের স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল পাস করেছে। ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

নিরবাস: ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে নিবরাস ইসলাম মনোশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসের ছাত্র ছিলেন।

খায়রুল: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চুতিনগর ইউনিয়নের ব্রিকুষ্টিয়া গ্রামের দিনমজুর আবু হোসেনের ছেলে খায়রুল। খায়রুল ডিহিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন।

শফিকুল: শফিকুলের বাবা বদিউজ্জামান কৃষিশ্রমিক। শফিকুল ধুনটের গোঁসাইবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও গোসাইবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন।

/আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ