শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

রিমঝিম বর্ষায় রূপসী বাংলা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

borsha

সিয়াম বিন আহমাদ: চৈত্রের পোড়া রৌদ্দুরে ক্রন্দসী ফেঁটে যখনই চৌচির হয়ে যায়; ঠিক তখনই প্রকৃতির ভাঁজ খুলে রূপসী বাংলা সেঁজে ওঠে বর্ষার সাঁজে। পানিতে ডুবুডুবু হয় আউশের ক্ষেত। মাথায় মাথাল বেঁধে পল্লীর কৃষানরা ব্যস্ত হয়ে পরে নতুন ধান ঘরে তুলতে। এসময় কলা গাছের ভেলায় চড়ে দিনভর টানতে হয় সোনালী ধানের আঁটি। এবেলায় আর শোনা যায়না মধুর সুরে বাঊল গান।

কবির ভাষায়, "বাদলের ধারা ঝরে ঝর ঝর আউশের ক্ষেত জলে ভর ভর " শালিক, দোয়েল, বুলবুলিদের দেখা যায় ঘরের আনাচে কানাচে, কখনো লাউয়ের ডোগায়, কখনো ঝিঙের মাচায়, আবার কখনো জানালার উপরও নেমে পরে; একটা ঘাসফড়িং, টিকটিকির লোভে। জুঁই, কেয়া, কদম, হিজল ফুল ফোঁটে গাছে গাছে। দখিনা জানালা খুলতেই কদম ফুলের ঘ্রাণে প্রাণটা জুড়িয়ে আসে। মাছরাঙা তাকিয়ে থাকে কলমি লতার ফাঁকে । টুঁয়ার ভেতর চড়ুই পাখি ফুরুৎ ফুরুৎ আসে যায়। জেলেরা মাছ ধরায় ব্যস্ত থাকে রাতদিন। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আঁচলে ছেঁকে ধরে চাঁদা, চ্যালা,সরপুঁটি। আবার কেউ ছুঁটে যায় শাপলা ফোঁটা বিলের ঝিলে। সারি বেঁধে উড়ে যায় বকগুলো। ঝোঁপের আঁড়াল থেকে ভেসে আসে ডাহুকের ডাক । এমন সময়ই নেমে পরে নিশ্চুপ সাঁঝ। পল্লীর সাদা-সিধে মানুষগুলো ব্যস্ততার কাজ সেরে ভেলাটি ঘরের উঠানে বাঁধে। তারপর বোতলের অাধটু কেরোসিন তেল হাতে নিয়েই ঢুকে পরে আপন কুটিরে। এই সন্ধ্যা বেলা-ই দেখা যায় খেঁজুর পাটি বিছিয়ে খাবার নিয়ে বসে আছে পল্লীর প্রিয় জননী ।

borsha2

কবির ভাষায়, সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে, আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে। শ্রাবণ সন্ধ্যা মিশে যায় গোধূলি লগ্নে, নেমে পরে নির্জন নিশুতি। নরম অম্বুর গন্ধে জেগে থাকে জোনাকিরা। উঠোনের টলটল পাপড়ীতে তারকাদের লুকোচুরি। এবেলায় ঢের ইচ্ছে জাগে কদম্বফুল, জ্যোৎস্না আর বুলবুলির সাথে খেলায় মেতে উঠতে। আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। রাতভর ঝরে টিপটিপ বৃষ্টি। গুড়ুম গুড়ুম মেঘের বোল। ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ শব্দে কেমন যেন তানপুরার সুর। আত্নার সুতো ছিঁড়ে টান পরে দূরে থাকা আপন জনের দরজায়। নিঃসঙ্গ একাকী মনে হয় নিজেকে। বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া মনকে উদাস করে দেয়। ভাবনারা এসে বাসা বাঁধে কষ্টের কুটিরে। কিসের যেন অভাব ! না পাওয়া বা প্রিয়জন হারানোর বেদনা মানুষকে ভাবিয়ে তোলে।

এভাবেই জীবন থেকে হারিয়ে যায় এক একটি দিন করে বর্ষার প্রতিটি দিন।

কবির ভাষায়, যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো চলে এসো এক বরষায়.....।

সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ