বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনের আহ্বান জামায়াতের ৯৩ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা  অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই শুরু তিস্তা প্রকল্পের কাজ: আসিফ মাহমুদ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে সুদানের গৃহযুদ্ধ: জাতিসংঘ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ নিউইয়র্কে ১০ লাখ মুসলিম মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করবেন: মেয়র মামদানি টাইফুন কালমেগির আঘাত ফিলিপাইনে, নিহত ৬৬ ১৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে জনসমুদ্রে পরিণত করার আহ্বান  ত্রাণ প্রবেশে বাধা, যুদ্ধবিরতিতেও ক্ষুধার্ত গাজা আফগানিস্তান প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় আপেল রপ্তানি শুরু করেছে

বিরোধের মুখেও জয়নাবকে ফাঁসি দিচ্ছে ইরান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

jainabআওয়ার ইসলাম: ২২ বছর বয়সী ইরানি নারী জয়নাবের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করবে যে কোনো মুহূর্তে। যদিও তার এ ফাঁসি নিয়ে আপত্তি তুলেছে অনেক মানবাধিকার সংস্থা। কিন্তু সেসবে কান দেয়নি ইরান। স্বামীকে হত্যার অভিযোগে তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে যখন তার স্বামী খুন হয় তখন জয়নাবের বয়স মাত্র ১৭। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, হত্যাকাণ্ডের সময় জয়নাব প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না। সুতরাং তাকে ফাঁসি দেয়া অন্যায় হয়ে যাচ্ছে।

জয়নাব এর আগে অনাগত সন্তানকে হারিয়েছেন, হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের, যারা তাকে পরিত্যাগ করেছে। কারাগারের প্রকোষ্ঠে থেকেছেন দীর্ঘ বছর। আর এখন হারাচ্ছেন পুরো জীবনটাই।

১৫ বছর বয়সে ভালোবাসা এবং সুযোগের খোঁজে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে হোসেইন সারমাদিকে বিয়ে করেন। সারমাদি তার থেকে চার বছরের বড় ছিলেন। জয়নাবের বিশ্বাস ছিল, স্বামীর কাছে একটা ভালো জীবন পাবেন। কিন্তু ঘটেছে তার উল্টো। সারমাদির কারণে জীবনটা জয়নাবের কাছে আরো কঠিন হয়ে যায়। কিশোরী বধূ জয়নাবকে নিয়মিত অত্যাচার করতো সারমাদি। পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল জয়নাব। স্বামীর কাছ থেকে তালাকও চেয়েছিল সে। পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। মুক্তি উপায় খুঁজতে গিয়ে হতবুদ্ধি জয়নাব বাধ্য হয়ে স্বামীকে ছুরিকাঘাত করেন। পুলিশের কাছে সে নিজের অপরাধও শিকার করেছেন জয়নাব। কিন্তু পুলিশ বা আদালত তার এই অপরাধ ক্ষমাযোগ্য হিসেবে দেখেনি।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ