রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন

কোটা সংস্কারকামীদের সাথে পুলিশে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ ৫ দফা দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ে রওয়ানা দিয়েছে চাকরি প্রত্যাশী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিশাল মিছিল।

এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল করে শিক্ষার্থীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে রওয়ানা হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী তিন ছাত্রকে আটক করে পুলিশ।

মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট চত্বরে গেলে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। এসময় সেখানেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

মিছিল থেকে তারা ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দাবি মোদের একটাই, কোটার সংস্কার চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, ‘কোটা সংরক্ষণ বন্ধ কর, মেধাবীদের সুযোগ দাও’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দাবি হলো, কোটা ৫৬% থেকে কমিয়ে একটি সহনশীল মাত্রায় তথা ১০%-এ নিয়ে আসা। বর্তমান ৩০ লক্ষ বেকারের এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এজন্য সবাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোটার একটা যৌক্তিক সংস্কার দাবি করছেন।’

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিবো। এটা আমাদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ। পরবর্তী কর্মসূচি আমরা সেখান থেকে ঘোষণা করবো।’

আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. কোটা ব্যাবস্থা সংস্কার করে ৫৬% থেকে ১০% এ নিয়ে আসা;
২. কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদসমূহে মেধায় নিয়োগ দেয়া;
৩. কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নয়;
৪. সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা এবং
৫. চাকুরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যাবহার না করা।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ