রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই

যুক্তরাজ্যে ইসলাম গ্রহণকারীর অধিকাংশই নারী, কী বলছেন তারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাজিদ নূর সুমন
আওয়ার ইসলাম

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বিভিন্ন ধর্ম থেকে যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছেন যাদের বেশিরভাগই নারী। তবে একই সাথে তাদের নানান প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা সম্প্রতি ইসলাম গ্রহণ করা ছয়জন নওমুসলিমের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে যেখানে তারা ইসলাম গ্রহণের কারণ ও ইসলাম গ্রহণের পর নানান প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কথা বলেছেন।

শাবির নামের এক নওমুসলিম নারী বলেন, ইসলাম গ্রহণের অনুভূতি অসাধারণ, এটি জীবনকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। তবে নারী আর পুরুষের ক্ষেত্রে সমাজের মানুষদের প্রতিক্রিয়া একই রকম হয় না। নারীদের অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়।

শিখ পরিবার থেকে মুসলিম হওয়া ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী বলেন, স্বাভাবিকভাবেই আমি যে পরিবেশে বেড়ে উঠেছি তা বর্তমানের চেয়ে আলাদা, এখানে নারী পুরুষরা একে অন্যের সাথে তেমন মেলা মেশা করে না।

এমটিভির উপস্থাপিকা ক্রিস্টিনা বেকারের ইসলাম গ্রহণের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে চাকরি হারাতে হয়। যদিও তিনি বর্তমানে অন্য একটি চাকরি করছেন। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে তেমন বাধার সম্মুখীন হতে হয় না কারণ পুরুষদের ইসলাম গ্রহণের পর বাহ্যিকভাবে ততটা পরিবর্তন হতে হয় না। মেয়েদের হঠাৎ করে ইসলামিক সংস্কৃতি ও পোশাকের নিয়ম মেনে চলাও অনেক সময় কঠিন।

ডা. আন্নি কক্সন বর্তমান নাম আমিনা বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণের পরপরই আমার পরিবার ও বন্ধুদের হারাতে হয়েছে তবুও আমি নতুন সম্প্রদায়ের সাথে মানিয়ে চলতে চেষ্টা করছি। আমি খেয়াল করেছি মুসলিমরা অনেক বিভক্ত। বিভিন্ন মসজিদে বা মুসলিমদের মাঝে আমাকে খুব একটা স্বাগত জানানো হয়নি।

তিনি আরো বলেন, যেখানে অন্যধর্মের মানুষদের কটাক্ষ করে কথা বলতে এবং নিজেদের ধর্মকেই প্রাধান্য দিতে অভ্যস্থ সেখানে অন্যধর্ম থেকে আসা নতুনদের জন্য মানিয়ে নেয়া অনেক কঠিন।

তবে আইয়োনি সুলিভানের গল্পটি একটু আলাদা। তিনি এমফিল সম্পন্ন করে ইসরাইল, ফিলিস্তিন, জর্ডান ও মিশরে কাজ করেছেন এবং সেখানে অনেক সাচ্ছন্দেই কাজ করেছেন। সবার সাথেই স্বাভাবিকভাবে মিশতে ও উঠাবসা করতে পেরেছি। তারা সবাই নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিতে পছন্দ করে।

সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান/ আরটিএন

আরও পড়ুন : ইসলামী ব্যাংকের প্রথম মহিলা শাখা উদ্বোধন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ