রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায়

আজান শুনে সোনার মলাটওয়ালা কুরআনটি নেয়নি চোরেরা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে হায়দরাবাদের পুরানি হাভেলির একটি ঘুলঘুলির লোহার গরাদ কেটে ব্রিটিশ ভারতের করদরাজ্য হায়দরাবাদের নিজামের জাদুঘরে ঢুকে মূলব্যবান দ্রব্যসামগ্রী চুরি করেন একদল চোর।

পরে মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেল থেকে চুরি যাওয়া দ্রব্যসামগ্রী উদ্ধারের করেন পুলিশ। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে।

চুরি যাওয়া মূল্যবান জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল করদরাজ্যের শাসক নিজামের সোনার টিফিন বক্স। চার কেজি সোনা দিয়ে তৈরি তিন স্তরের টিফিন বক্সটিতে হীরা, চুনি ও পান্নার মতো মূল্যবান পাথর বসানো রয়েছে।

বক্সটির মূল্য কয়েক কোটি রুপি। এ ছাড়াও ছিল চুনি-পান্না বসানো একটি সোনার কাপ, বাটি, ট্রে ও চামচ। এসব সামগ্রী গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।

তবে অবাক করা বিষয় হলো- এতকিছু চুরি করলেও তারা সোনার মলাটওয়ালা একটি কুরআন সেখানে রেখে চলে আসে।

হায়দ্রাবাদের শাসক নিজামের ভবন। ছবি: সংগৃহীত
হায়দরাবাদের শাসক নিজামের ভবন। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘তারা যখন সোনার প্রচ্ছদবিশিষ্ট একটি মূল্যবান কুরআন শরিফ নিয়ে যাওয়ার জন্য হাত বাড়ায়, ঠিক তখনই কোনো একটি মসজিদ থেকে ফজরের আজান শুরু হয়। এতে তারা ভয় পেয়ে যায় এবং কুরআন শরিফটি চুরি করা থেকে বিরত থাকে।’

পুলিশের দাবি, চুরি যাওয়া জিনিসগুলোতে যে পরিমাণ সোনা আছে, তার দামই এক কোটি ভারতীয় রুপির সমান। আর দুর্লভ পুরনো সামগ্রী বা ‘অ্যান্টিক’ হিসেবে এগুলোর মূল্য অনেকগুণ বেশি।দুবাইয়ের বাজারে এগুলোর দাম ৩০-৪০ কোটি রুপিও হতে পারে বলে তারা ধারণা করছে।

অভিযুক্ত দুজনের একজনের নাম গাউস; তার বয়স ২৫। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ২৬টি মামলার হুলিয়া রয়েছে।

অপর ব্যক্তির বয়স অপেক্ষাকৃত কম। এই ব্যক্তিই চুরির মূল পরিকল্পনাকারী। এক মাস আগে তিনি পর্যটক হিসেবে জাদুঘর পরিদর্শন করে আসেন। কেবল তা-ই নয়, ডাকাতির আগে তিনি পাঁচ থেকে ছয়বার জাদুঘর ঘুরে আসেন এবং কোনদিক দিয়ে জাদুঘরে ঢুকবেন তা চিহ্নিত করেন।

সূত্র: বিবিসি।

আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ