শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ।। ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৬ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মজা করে বেসামরিক মানুষ হত্যা করছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত  মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ‘ড. ইউনূসকে পদত্যাগ করালে বিপ্লবী সরকার গঠন করবে ছাত্র-জনতা’ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অর্থবহ সমাধান আসবে: জামায়াত আমির নোয়াখালীতে আন-নুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা লন্ডনে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ প্রধান উপদেষ্টার যেসব চাপে থাকার কথা জানালো নিউইয়র্ক টাইমস হজে গিয়ে অসুস্থ ১১১ বাংলাদেশি, হাসপাতালে ৩০ ইসলাম গ্রহণের পর জবি শিক্ষার্থীর হৃদয়ছোঁয়া আহ্বান – "একবার কুরআন পড়ুন"

ফনির প্রভাবে ঢাকায় বৃষ্টি শুরু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’র প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার পান্থপথ, ধানমন্ডি, শান্তিনগর, মতিঝিল, মিরপুর, মুগদাসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়।

আজ সারা দিনই থেমে থেমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। মধ্যরাতের দিকে ‘ফনি’ উপকূলীয় এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে ঘূর্ণিঝড়ের সতকবার্তায় জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আশরাফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এরই মধ্যে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের পুরিতে ঘূর্ণিঝড় ফনি আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে আজ সারা দিনই বাংলাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। মধ্যরাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।

শুক্রবার সকালে আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়েছিল, ফনি আজ সকাল ৬টায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে শুক্রবার মধ্যরাত নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার দুপুর নাগাদ ফনির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ