শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ওলামায়ে দেওবন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা সুফিয়ান কাসেমী
মুহতামিম, দারুল উলুম দেওবন্দ (ওয়াকফ)

আমরা যদি পর্যবেক্ষণের দৃষ্টিতে দেখি যে আমাদের আকাবির ওলামায়ে দেওবন্দের মধ্যে এমন কী বৈশিষ্ট্য ছিলো, যার জোরে এই অঙ্গন থেকে এতো বিশাল সব ব্যক্তি তৈরি হয়েছেন?

কীভাবে দেওবন্দ ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় এতো বড় অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে?

তাহলে আমরা দেখতে পাবো, ওলামায়ে দেওবন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল চিন্তার ভারসাম্য; এই ভারসাম্যের কারণেই ওলামায়ে দেওবন্দ সর্বভারতীয় মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছে।

ওলমায়ে দেওবন্দের জ্ঞান ও জীবনদর্শন সম্বলিত বই ও লেখাগুলো অধ্যয়ন করো এবং তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেদের ভেতরে ভারসাম্যপূর্ণ চিন্তা তৈরি করো।

বর্তমান যুগ চিন্তাগত যুদ্ধের যুগ। ইসলামের উপর চতুর্দিক থেকে চিন্তাগত আক্রমণ হচ্ছে। ইসলামকে বিকৃত করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

এই সময় আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো চিন্তাগত আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া। ইসলামের পবিত্র বাণীকে অবিকৃতভাবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা। ইসলামের শুদ্ধ শিক্ষা পৃথিবীর সামনে পেশ করা।

যখন ভারত সাম্রাজ্যবাদী শক্তির করতলগত হলো, সেই সংকটময় সময়ে এই দেশে ইসলামের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে তোলাই ছিলো ওলামায়ে কেরামের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।

তাই দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা কাসেম নানুতুবী রহ. এমন কিছু মানুষ তৈরির উদ্যোগ নিলেন, যারা পরিপূর্ণ ইসলমী সংস্কৃতির পতাকাবাহী হবে এবং ইসলামী শিক্ষার আলোকে নিজেকে ও ইসলামকে রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে।

এই উদ্দেশ্য সামনে রেখেই দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো; যার দেড়শ’ বছর ইতিহাস আজ আপনাদের সামনে রয়েছে।

[রোজনামা খবরেঁ থেকে বাংলায় অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন রকিব মুহাম্মদ]

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ