শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

এবার বাহরাইন ছেড়ে দেশে ফিরলেন শায়খ হারুন আজিজী নদভী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনের বিভিন্ন মসজিদে নিয়োজিত প্রায় অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে দেশটির সরকার। বিগত বছর বাংলাদেশি এক মুয়াজ্জিনের হাতে বাহরাইনের এক ইমাম নৃসংশভাবে খুনের ঘটনার জেরেই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহরাইন।

সেই ধারাবাহিকতায় দেশে ফিরলেন বিশিষ্ট হাদিস বিশারদ ও ডিসকভারি ইসলাম বাংলা বিভাগের সমন্বয়ক খতিব আল্লামা হারুন আজিজি নদভী। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে দেশটিতে সুনামের সাথে ইমাম এবং খতিবের বিশেষ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে বাহরাইন ত্যাগ করেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে আওয়ার ইসলাম।

এদিকে, আল্লামা হারুন আজিজি নদভী দেশে ফেরায় বাহরাইন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শূন্যতা বিরাজ করছে। কারণ, তিনি  বাহরাইন প্রবাসীদের ধর্মীয় শায়খ ও অভিভাবক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।

প্রবাসী বাংলাদেশী ও বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে পরিবার নিয়ে কর্মরত আরো দুই শতাধিক ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে শিগগিরই ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বাহরাইনের বিভিন্ন মসজিদে ২৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। তারা ১৯৮০ সাল থেকেই অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যার কারণে বাহরাইন সরকারও তাদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে।

কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট হঠাৎ একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পরই সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। একটি মসজিদে কর্মরত বাহরাইনি ইমাম আবদুল জলিলকে একই মসজিদের বাংলাদেশী মুয়াজ্জিন কামাল উদ্দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ তিন টুকরো করে ফেলে।

ঘটনার পরই পুলিশ মুয়াজ্জিন কামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করে। ২৭ জুলাই কামাল উদ্দিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হয় ।

বাহরাইনে বাংলাদেশী ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সংগঠন ‘ওয়াকাফ’ মনে করছে, গত বছর মসজিদের ভেতরে বাহরাইনি ইমাম আবদুল জলিলকে খুনের ঘটনায় দেশটির সরকার এমন আচরণ করছে।

জানা গেছে, আসলে কী অপরাধে বাহরাইন সরকার তাদের ফেরত পাঠানো শুরু করেছে সেটি তারাও ঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না। ইতোমধ্যে ৬০ জনেরও বেশি ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ দিকে বাহরাইনে বসবাসরত একাধিক ব্যবসায়ী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ইমাম খুনের ঘটনার পর থেকেই বাহরাইন সরকার বাংলাদেশীদের নামে সব ধরনের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ