শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৯ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের যেকোনো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন অটল বাংলাদেশের  গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে করিমগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল  ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র সম্ভব নয়: পীর সাহেব চরমোনাই এবার নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইল জামায়াতে ইসলামীও ৩ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কবি আল্লামা মুহিব খান মার্চ ফর গাজা" সফল করুন: খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ ৫০ আসন টার্গেট করে এগোচ্ছে জমিয়ত বেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদরাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন `মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করুন: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

শতবর্ষে পদার্পণ করল পাক জমিয়ত, চলছে নানা পরিকল্পনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গত ১৯ নভেম্বর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মূল সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ খ্রিস্টিয় ক্যালেন্ডর অনুযায়ী শত তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ২০১৭ সালে হিজরি ক্যালেন্ডার মোতাবেক তাদের তাদের শতবর্ষী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১৩৩৮ হিজরিতে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান হিজরি সাল অনুযায়ী ওই আয়োজন করেছিল।

এবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তান খ্রিস্টিয় সাল অনুযায়ী শততম বর্ষ পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কাবার ইমাম এবং সৌদির ধর্মমন্ত্রীসহ ৫২ দেশের ইসলামি ব্যক্তিবর্গ এতে অংশগ্রহণ করবেন।

মুফতি কেফায়েতুল্লাহ, মাওলানা শিব্বির আহমদ ওসমানী, আল্লামা সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানি,মাওলানা আশরাফ আলী থানভি প্রমুখ ইতিহাসের বিখ্যাত ব্যক্তিদের হাত ধরে উপমহাদেশের সবচে’ বড় এ ধর্মীয় সংগঠন পথচলা শুরু করে।

উপমহাদেশের রাজনীতিতে জমিয়ত তার আলাদা একটা অবস্থান তৈরি করে রেখেছে।  তাহরিকে খেলাফত আন্দোলনের মধ্যদিয়ে মহাত্মা গান্ধি এবং কংগ্রেসের সাথে ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে জমিয়ত। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আজীবন জয়িতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন।

পাক জমিয়তের একাংশের বর্তমান প্রধান নেতা মাওলানা ফজলুর রহমানের বাবা মুফতি মাহমুদ হাসান ১৯৬২ সালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের নেতৃত্বে আসেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে জামাতে ইসলামির সাথে মিলে মোট ১৬ সিটে জয়লাভ করে জমিয়ত।

১৯৮১ সালে মাওলানা ফজলুর রহমান যখন জেনারেল জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ফলে কারাবন্দি হন, মূলত তখনই তাকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৯৫ সালের ২৮ মার্চ দলের সভাপতি হাফিজুল হাদিস আল্লামা আব্দুলাহ দরখাস্তির ইন্তেকালের পর মাওলানা ফজলুর রহমান সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।

১৯৮৮ সালে মাওলানা ফজলুর রহমান এবং মাওলানা সামিউল হক রহ. এর হাত ধরে পাক জমিয়ত আবার দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ