শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

চলে গেলেন বিরল প্রতিভার অধিকারী এক আলেম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জহির উদ্দিন বাবর ।।

মুফতী মুহাম্মদ ইদরীস কাসেমী। দারুল উলূম দেওবন্দের মুঈনে মুফতী হিসেবে কর্মরত ছিলেন দীর্ঘদিন। তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান সহিহ বুখারির বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘কাশফুল বারী শারহু সহীহিল বুখারী’ এর রচয়িতা তিনি।

প্রায় ১৭ বছরে রচিত উর্দু ভাষায় ৩২ খণ্ডের বিশাল এই ব্যাখ্যাগ্রন্থটির কারণে তিনি উপমহাদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। পরে সেই ব্যাখ্যাগ্রন্থটি নিজেই বাংলা ভাষায় রূপান্তর করেন।

একটি বিশাল গ্রন্থের মূল লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, বিক্রেতা সবই তিনি ছিলেন। বলা যায়, তাঁর গোটা জীবন দিয়েছেন এর পেছনে।

আমি যখন দারুর রাশাদে ছিলাম প্রায়ই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতো। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীতে, থাকতেন মিরপুরে। অত্যন্ত সহজ-সরল ছিলেন। মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকত।

তাঁকে দেখে বোঝা যেত না, এতো বিশাল ইলমি খেদমত তিনি আঞ্জাম দিয়েছেন। দেখা-সাক্ষাতে সবসময় বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ নিয়েই আলোচনা করতেন। প্রতিটি খণ্ড ছাপা এবং বাজারজাত করার পেছনে তাঁকে প্রচুর শ্রম দিতে হয়েছে।

এমন বিরল প্রতিভার আলেম বাংলাদেশে খুব কমই আছেন। আল্লাহ তাঁর খেদমতগুলো কবুল করে নিন। তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন। আমিন।

লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ  ইসলামী লেখক ফোরাম । 

(লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া )

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ