শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা তালেবান সরকারের নিষিদ্ধের তালিকায় মওদুদীর বই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা পর্তুগালের যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন এডভোকেট এর ইন্তেকাল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলঞ্জ ইউনিয়ন শাখা কমিটি গঠন সম্পন্ন

৭ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গা তাকিয়ে আছে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের দিকে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা’র অভিযোগের রায় বের হবে আজ বৃহস্পতিবার। সেই রায়ে কী হবে জানতে উত্‍কণ্ঠিত মায়ানমার সরকার ও দেশটির সর্বময় নেত্রী নোবেল জয়ী সু চী। নেদারল্যান্ডসেপ দ্য হেগ থেকে আন্তর্জাতিক আদালত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার রায় দেওয়ার কথা রয়েছে আজ বৃহস্পতিবার।

জানা যায়, মায়ানমারের বিরুদ্ধে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা’ অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। যদিও সু চী সরকার রেহিঙ্গাদের গণহত্যার বিষয় মানতে নারাজ। কিন্তু পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৭ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার দাবি, বর্মী সেনা গণহত্যা ও গণধর্ষণে জড়িত।

আর এই দাবি ঘিরে গত কয়েক বছর ধরে বারে বারে বিতর্কে মায়ানমার সরকার। বিষয়টি এবার আন্তর্জাতিক আদালতে উঠেছে। সম্প্রতি এই আন্তর্জাতিক আদালতেই পাকিস্তান সরকারের মুখ পুড়েছে। ভারতীয় গুপ্তচর সন্দেহে বন্দি করা নৌ সেনার প্রাক্তন অফিসার কুলভূষণ যাদবের ফাঁসি স্থগিত করে আইসিজে।

‘রোহিঙ্গা গণহত্যা’ মামলায় গাম্বিয়া সরকারের অভিযোগ, ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের (পূর্বতন আরাকান) রোহিঙ্গাদের উপর পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালায় সেদেশের সেনা। বর্মী সেনা গণহত্যা ও গণধর্ষণে জড়িত। যদিও মায়ানমার সরকারের দাবি, রোহিঙ্গা সশস্ত্র বাহিনি 'আরসা' প্রথমে বর্মী পুলিশ চৌকি ও সেনার উপর হামলা চালিয়েছিল।

তাদের রুখতে রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান চালানো হয়। এদিকে বর্মী সেনার অভিযান শুরু হতেই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন থেকে লাখে লাখে রোহিঙ্গা ঢুকতে শুরু করেন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফে।

রিপোর্টে বলা রয়েছে, গণহত্যার আশঙ্কায় মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের জন্য শরণার্থী শিবির চালালেও অবিলম্বে মায়ানমারে তাদের পাঠাতে চায়। চলছে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। তবে ঢাকার অভিযোগ, মায়ানমারের সর্বময় নেত্রী সু কি এই বিষয়ে গড়িমসি করছেন। একাধিক দেশ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির আরও অভিযোগ, নীরব থেকে সু কি তাঁর দেশের সেনার মদতে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানোর পথ পরিষ্কার করেছেন।

এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে গাম্বিয়া সরকার সরাসরি মায়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ এনে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজে-তে এ মামলা করে।রেহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ চেয়েছে গাম্বিয়া। এর পরেই প্রতিক্রিয়া দেয় মায়ানমার সরকার ও সর্বময় নেত্রী সু কি।

তিনি গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, এই বিষয়ে মামলা পরিচালনা করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক আদালতের নেই।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ