বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

গণহত্যা হত্যা: আইসিজের রায়কে স্বাগত জানালো সাইপ্রাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারে বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সাইপ্রাস।

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে লেখা এক চিঠিতে আইসিজের রায়কে স্বাগত জানায় সাইপ্রাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ক্রিস্টোডাউলিডেস।

আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় সাইপ্রাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ক্রিস্টোডাউলিডেস জানান, সাইপ্রাস প্রথম থেকেই রোহিঙ্গা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগ পর্যবেক্ষণ করছে। সাইপ্রাস বিশ্বাস করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসা উচিত।

সাইপ্রাস দেশটির এবং বৈদেশিক নীতিতে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং আন্তর্জাতিক আইন সমর্থন করে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ক্রিস্টোডাউলিডেস। চিঠিতে সাইপ্রাস আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানায় বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তায় জানানো হয়।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মিয়ানমারকে দোষী প্রমাণিত করার চেষ্টায় মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে নিয়ে গেছে গাম্বিয়া। আর এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দেশটির আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা।

গাম্বিয়ার করা মামলায় নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের গণহত্যার বিপদ থেকে সুরক্ষায় আইসিজে সর্বসম্মতভাবে মিয়ানমারের প্রতি চার দফা অন্তর্র্বতী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা বা হত্যার চেষ্টা, তাদের শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করার চেষ্টা, তাদের জীবনযাপনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো পদক্ষেপ কিংবা ওই জনগোষ্ঠীর জন্মহার কমানোর যে কোনো ধরনের চেষ্টা বন্ধের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা মিয়ানমারকে অবশ্যই নিতে হবে।

২. মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বা কোনো সশস্ত্র গ্রুপ যেন এমন কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটায় যা গণহত্যা বা গণহত্যার ষড়যন্ত্রের অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

৩. গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো আলামত ধ্বংস করা যাবে না, বরং সেগুলো যাতে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়, তা মিয়ানমারকে নিশ্চিত করতে হবে।

৪. এই আদেশের ভিত্তিতে মিয়ানমার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে এই আদেশ হওয়ার চার মাসের মধ্যে আইসিজেতে প্রতিবেদন দিতে হবে। তারপর আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ