বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে বাংলাদেশি ২ তরুণ নিহত মারকাযুল উলূম খুলনা'র ২০ তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল শুক্রবার  অনশনরত তারেকের পক্ষে সংহতি বিএনপি’র গুলি খেতে না চাইলে এনসিপিতে আসুন: হাসনাত আবদুল্লাহ ‘উত্তেজনা কমাতে’ ইস্তাম্বুলে ফের আলোচনায় বসছে পাক-আফগান জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠি দেওয়ায় কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন ৭২র সংবিধান বাতিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম প্রেরণা: ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট প্রকাশিত হয়েছে আবুল ফাতাহ কাসেমী’র নতুন বই ‘ইসলাম ও কাদিয়ানি ধর্ম’  অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণার উপর গণভোট দিতে হবে: খেলাফত মজলিস আবারও আফগানিস্তানকে যুদ্ধের হুমকি পাকিস্তানের

করোনায় মসজিদে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে দেওবন্দের বিশেষ ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।।

ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থমন্ত্রণালয় থেকে সরকার যে দিকনির্দেশনা দিয়েছে, সেটা মেনে চলার জন্য মুসলিমদের প্রতি আহ্বান করেছে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ। এ কঠিন মুহূর্তে মুসলিমদের মসজিদে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ ফতোয়াটির অনুবাদ হুবহু তুলে ধরা হলো।

গতকাল সোমবার দেওবন্দের পক্ষ থেকে জারি করা এক আহ্বানপত্র ও ফতোয়ায় দেশের মুসলিমদের প্রতি এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

দেওবন্দের এ আহ্বান পত্রে বলা হয়, করোনা ভাইরাস থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে সরকার যে কারফিউ বা লকডাউন জারি করেছে সেগুলো মেনে চলে দেশকে এ মহামারী থেকে বাঁচাতে সহযোগিতা করা আমাদের কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে নিজেরাও সতর্ক থাকবেন ও অন্যদেরও সতর্ক থাকতে বলবেন।

দেওবন্দের এ ফতোয়ায় এ কঠিন পরিস্থিতিতে মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়ে বলা হয়, সরকার যেসব এলাকায় কারফিউ বা লকডাউন জারি করেছে, অথবা যেসব এলাকায় ভিড় জমায়েত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সেসব এলাকার মসজিদগুলোকে অনাবাদ না করতে মসজিদ কর্তৃপক্ষের উচিত কোনো হেকমত অবলম্বন করা। যেনো মসজিদকেও আবাদ রাখা যায়, আবার দেশের আইনও লঙ্ঘণ না হয়। এটা এভাবে করা যায়, যেসব এলাকায় লোকসমাগমে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেসব এলকার মসজিদগুলোতে ইমাম মুয়াজ্জিনসহ আরো কয়েকজন মুসল্লি মিলে আজান ইকামতের সঙ্গে জামাত চালু রাখবে। আর অন্যান্য মুসল্লিগণ তাদের ঘরে নামাজ আদায় করবেন।

আর যেসব এলাকায় এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা নেই, সেখানে মুসল্লিগণ অজু ও সুন্নাত তাদের ঘরে সেরে আসবে, মসজিতে নিরাপদ দূরত্বে বসবে। জামাতে নামাজ আদায় করে আবারো ঘরে চলে যাবে। আর মসজিদ কর্তৃপক্ষের উচিত, তারা মসজিদকে পরিস্কার পরিছন্ন রাখবে।

দারুল উলুম দেওবন্দের এ ফতোয়ার পর করোনা ভাইরাস বিষয়ে মুসলিমদের আকিদা বা বিশ্বাস সম্পর্কে বলা হয়। দেবন্দের সে ফতোয়ায় বলা হয়,

করোনা ভাইরাস বিষয়ে প্রত্যেক মুসলিমের এ বিশ্বাস থাকতে হবে, কোনো রোগ ভাইরাস, মহামারী আল্লাহর হুকম ছাড়া কাউকে আক্রান্ত করে না। এসব রোগ ও মহামারী মানুষের গুনাহের কারণেই এসে থাকে। এগুলো থেকে আল্লাহ তায়ালাই মুক্তি দিতে পারেন।

এজন্য প্রত্যেক মুসলিমের উচিত, প্রত্যেকে নিজ নিজ দীনি অবস্থান কে শক্তিশালী করবে। অর্থাৎ গুনাহ পরিত্যাগ করা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় না ছাড়া। তাওবা ইস্তিগফার বেশি বেশি করা। আল্লাহর কাছে গুনাহগুলোর জন্য ক্ষমা চাওয়া। সব ধরণের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। বেশি বেশি আমল করা। মানুষকে আমল ও তওবার প্রতি আহ্বান করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন।

ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া থেকে হুবহু আবদুল্লাহ তামিমের অনুবাদ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ