বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার

হারাম উপার্জনকারীর থেকে ঋণ নেয়া বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রয়োজনের সময় হারাম উপার্জনকারীর থেকে ঋণ নেয়া যাবে কি? এমন একটি প্রশ্ন করা হয়েছে দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে।

প্রশ্নকারী ব্যক্তি তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘এমন ব্যক্তি থেকে ঋণ নেয়া যেতে পারে কি যার উপার্জন হারাম। উদাহরণস্বরূপ আমি বলছি, যে আমার ওপর কোনো ব্যক্তির ঋণ আছে এবং সেই ঋণ পরিশোধের জন্য ওই ব্যক্তি বারবার তাগাদা দিচ্ছে। কিন্তু আমি এখন ঋণ পরিশোধের উপযোগী নয়। তো এ অবস্থায় যদি কোন হারাম উপার্জনকারী ব্যক্তি থেকে করজ নিয়ে আমি তার ঋণ পরিশোধ করে দেই তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এর বিধান কী? তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, এই প্রশ্ন আমি ওই অবস্থায় করছি, যে অবস্থায় কোনো হালাল উপার্জনকারী ব্যক্তি থেকে ঋণ পাচ্ছি না।’

উপরোক্ত প্রশ্নের জবাবে দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম উত্তর ছিল, হারাম উপার্জন করে ব্যক্তি থেকে ঋণ নেয়া যাবে না। তবে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় দারুল উলুম দেওবন্দ একটু শিথিলতার কথা বলেছে।

তারা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির পূর্ণ উপার্জন অথবা অধিকাংশ উপার্জন হারাম পদ্ধতিতে করা হয় বলে পূর্ণ ধারণা অথবা প্রবল ধারণা হয়। তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা একেবারেই নাজায়েজ। আর ঋণ নেওয়া ও এক প্রকারের অনুত্তম বিষয়। তাই তার সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরী। হ্যাঁ! যদি দানকারী ব্যক্তি বলেন যে, এই টাকাগুলো বিশেষভাবে হালাল পদ্ধতিতেই আমি কামাই করেছি। তাহলে সেটি নেওয়া যাবে।’

ফতোয়ার দলিল: ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা নাম্বার ৩৪৩। দেওবন্দের ওয়েবসাইটের ফতোয়া বিভাগে প্রকাশিত প্রশ্ন নং: ৬০৪২৯৪, বিষয়: বিবিধ-হালাল ও হারাম। উত্তর নং ৬০৪২৯৪, ফতুয়া: ৭৪৯-৬০৮/ ডি= ০৯/১৪৪২ হি.

দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে মোস্তফা ওয়াদুদ এর অনুবাদ।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ