শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের যেকোনো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন অটল বাংলাদেশের  গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে করিমগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল  ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র সম্ভব নয়: পীর সাহেব চরমোনাই এবার নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইল জামায়াতে ইসলামীও ৩ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কবি আল্লামা মুহিব খান মার্চ ফর গাজা" সফল করুন: খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ ৫০ আসন টার্গেট করে এগোচ্ছে জমিয়ত বেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদরাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন `মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করুন: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

বাড়ি-গাড়ির জন্য লোন নেয়ার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: আপনি কি বাড়ি বানাতে চান? কিংবা নতুন একটি গাড়ীর স্বপ্ন দেখেন? তাহলে লোন নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে? এমন মোহনীয় বিজ্ঞাপন আমরা দেখি প্রায় জায়গায়। শহরের নানা জায়গায় এসব বিজ্ঞাপনে সাইনবোর্ডের ছড়াছড়ি থাকে। অনেকেই এসব বিজ্ঞাপন দেখে লোভে পড়েন। পা দেন সুদী লোনের মতো জঘন্য এ অপরাধের ফাঁদে।

তাছাড়া আমাদের জীবনেও কত স্বপ্ন থাকে! একটি গাড়ি হবে! একটি সুন্দর বাড়ী হবে! সুন্দর-সুখময় জীবন হবে! কারো ভাগ্যে হয়তোবা সেটা সম্ভব হয়। কিন্তু সবার জন্য সবকিছু হয়ে ওঠে না। মধ্যবিত্তের এমন অনেক মানুষ আছে, সারাজীবন একটি নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন দেখেই বিদায় নিতে হয়েছে পৃথিবী থেকে। কারো ব্যক্তিগত বাড়ি থাকলেও নিজস্ব গাড়ি নেই। গাড়ির স্বপ্নে বিভোর থাকেন সবসময়।

আর মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ তো আছেনই, যাদের গাড়ি আছে। সুন্দর বাড়ী আছে। আছে বিশাল অট্টালিকা। সুরম্য দালান। তাদের সুখের অভাব নেই। খাওয়ার মানুষ নেই। তবে এমন চাঁদ কপাল খুব কম মানুষেরই হয়।

বিত্তদের এমন সুখের জীবন দেখে মধ্যবিত্তের অনেকেই মোহনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে নিতে চান ব্যাংক লোন। ক্রয় করতে চান একটি গাড়ি। অথবা বানাতে চান একটি বাড়ি। মধ্যবিত্তের এই লোন নিয়ে গাড়ি কেনা কিংবা বাড়ি বানানো যাবে কি? হাজারো মানুষের মনে জন্ম নেয়া এমন একটি প্রশ্নই দেওবন্দের ওয়েবসাইট করেন জনৈক ব্যক্তি।

দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে জবাবে বলা হয়, ‘সুদে ঋণ নেওয়া অকাট্য দলিল এর মাধ্যমে হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদ লেখক, ও সুদের উপর সাক্ষ্যদাতা; এই সবার উপরে অভিশাপ করেছেন। (মিশকাত শরীফ, ২৪৪)’।

এইজন্য বাড়ী-গাড়ী কিংবা ঋণ পরিশোধ করার জন্য যে লোন নেওয়া হয় সেটা না নেওয়া উচিত। এই লোন নিতে যেনো কেউ অগ্রসর না হয়।

হ্যা! কেউ যদি ঋণে জর্জরিত থাকে তাহলে সে যেনো লোন নিয়ে ঋণ পরিশোধ না করে। বরং তার জন্য পরামর্শ হলো, তিনি বেশি বেশি এই দোয়া পাঠ করবেন। (اللہُمّ أکفني بحلالک عن حرامک وأغنني بفضلک عمن سواک) অর্থ, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হারাম থেকে বাঁচিয়ে হালালের উপরে যথেষ্ট রাখুন। এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারাই আমাকে ধনী করুন।’

এর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধ করার জন্য যে সকল বৈধ সুরত রয়েছে, সে সকল বৈধ সুরত অবলম্বন করবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হয়তো একদিন তার মনের আশা পূরণ করে দিবেন। বৈধভাবে ঋণ পরিশোধ ব্যবস্থারও সৃষ্টি করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ