শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রফেসর হযরতের সাহচর্যে কিছু সময়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাসান মুরাদ।।

পড়ন্ত বিকেল। আজকের বিকেল অন্য,ভিন্ন তাই আমার কাছে অনন্য। আজ আসবেন আমার প্রিয় প্রফেসর হামীদুর রহমান। আসবেন কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় ধরমপুর গ্রামে।

এখন তিনি ৮০ বছরের অতিশয় শায়খ। বয়সের ভারে তিনি নুয়ে পড়েছেন। কিন্তু আশ্চর্য! নুয়ে পড়েও তিনি দাড়িয়ে আছেন স-মহীমায়। ছুটছেন দূর্বার গতিতে।

বয়সের সাথে সাথে তার শোভা,প্রভা,জ্যোতি,দ্যুতি আরো ছড়িয়ে পড়ছে । চারদিকে সুরভী ছড়াচ্ছেন।সে সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে মুমনিদের কোমল হৃদয়ে।তিনি দুর থেকে আসছেন।

আমরা কাছে থেকেও কাছে আসতে পারি না।আর দুরেতো নয়ই-- এটাই পার্থক্য! আছর পড়ে বসে আছি, এই বুঝি এলেন বলে। সময় যেন গড়াতে চাই না। অবশেষে এলেন। এলেন পল্লি গ্রামের সাধারন মসজিদে।

ভাবছি এতো বড় মানুষ এতো ছোট জায়গাতে! হ্যা! বড়রা এমনি। তারা ছোটকে বড় করতে চান। যেখানে কেউ যায় না সেখানে তাদের দৃষ্টি পড়ে-নড়ে। সাথে ছিলেন হযরতের বড় ছেলে মুফতি রিদওয়ান, মেজ ছেলে আরিফ সাহেব আরো কয়ক জন। হযরত বড় ছেলেকে কথা বলতে বললেন। আরো যারা কথা বলবেন বাঁধা বাঁধা শব্দে তাদের নামও বলে দিলেন।

আমাদের শোনালেন না শোনানো অনেক কথা। ১৯৮০ সালের কথা। হাফেজ্জি হুজুর রহ. হজে গিয়েছিলেন।ওই সফরে হুজুরের খাদেম ছিলেন প্রফেসর হযরত।

সে বছর হকিমুল উম্মত আশরাফ আলী রহ. এর খাছ খলিফা শাহ আবরারুল হক সাহেব রহ. এবং তার খলিফা শাহ হাকিম মুহাম্মদ আখতার সাহেব রহ. হজের সফরে ছিলেন। হাফেজ্জি হুজুর রহ. উভয় হযরতকে বাংলাদেশে দাওয়াত করেছিলেন।

সুতরাং ১৯৮১ সালে আবরারুল হক সাহেব রহ. এবং শাহ হাকিম মুহাম্মদ আখতার সাহেব রহ.বাংলাদেশে সফরে আসেন।ঢাক শহরে একদিন সফরে বরে হলেন। গাড়িতে সকলেই আছেন।

পেছনে ছিলেন প্রফেসর হযরত। হযরত বলেন, গাড়ি চলতে ছিল। হঠাৎ লাল সিগনাল পড়ল।লাল সিগনাল পড়লে গাড়ি থামাতে হয়। কিন্তু ড্রাইভার গাড়ি না থামিয়ে চালাতে লগলেন।

পেছন থেকে শাহ আবরারুল হক সাহেব রহ.ড্রাইভারকে বললেন (গাড়ি রোকা কিউ নেহি) গাড়ি থামালেন না কেন? ড্রাইভার উত্তর দিলেন “ইহা পর পুলিস নেহি হ্যায়”(এখানে এখন পুলিশ নেই) হযরত ড্রাইভারের জবাব শুনে অবাহ হয়ে গেলনে।

তারপর বললেন ইসি লিয়ে কাহা জাতা হ্যায় তালিম কে সাথ তাকওয়া ভি হোনা চাহ্যিয়ে” অর্থাৎ শিক্ষার সাথে তাকওয়া (আল্লাহর ভয়) থাকতে হয়। যতি আল্লাহর ভয় থাকত তবে পুলিশ না থাকলেও সে গাড়ি থামাত। আহ! কি গভীর ভাবনা! আমরা কি কখনো এভাবে ভাবি!

যদি এভাবে ভাবতে শিখি তো আমাদের জীবন বদলে যাবে। আমরা তালিম শিখি।কিন্তু তাকওয়া শিখিনা। আমরা অনেক বড় শিক্ষিত হয়। আমরা বিদ্যা শিখে ডাক্তার,ইঞ্জিয়ার,বুদ্ধিজীবি,মুফতি,মুহাদ্দিস হয়। কিন্তু তাকওয়া শিখি না।

আমাদের তাকওয়া শেখার সময় হয়না। দেখতে দেখতে সময়টুকু দ্রæত চলে গেল। আল্লাহর শোকর আলহামদল্লিহ! হযররেত সোহবতে আমরা ধন্য হলাম। আরো কিছু জরুরি নিছিহত শোনা হল। জীবন পথের এক বড় পাথেয় পেলাম। আমরা তালিমের সাথে তাকওয়া শিখব। আল্লহর কাছে সেই কামনা করি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ