শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল ৭৫ জনের রপ্তানি সত্ত্বেও ভারতে পাচার হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ দেশের মানুষ আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না: পীর সাহেব চরমোনাই বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব

ছোট পোশাক নারীকে বিজ্ঞানী বানায় না, পণ্য বানায়: মানবববন্ধনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পোশাক নিয়ে উচ্চ আদালতের মন্তব্যকে সমর্থন ও অভিবাদন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষার্থী। এসময় তারা ‘ছোট পোশাক নারীকে বিজ্ঞানী বানায় না, পণ্য বানায়’, ‘পোশাকের স্বাধীনতার নামে পাবলিক নুইসেন্স বন্ধ হোক’ প্রভৃতি লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড প্রদর্শন করে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৬ আগস্ট একটি মামলার পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত পোশাকের স্বাধীনতার নাম দিয়ে যারা পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে বলেছেন। আদালত প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যাওয়া যায় কি না? কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করার অধিকার আছে। পোশাক সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না? যে সমাজে যাবেন, সে সমাজের আর্থসামাজিক অবস্থাও একটি বিষয়।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, বাক স্বাধীনতার অর্থ যেমন অন্যকে গালি দেয়া নয়, ঠিক তেমনি পোশাকের স্বাধীনতার অর্থ অন্যকে বিরক্ত করা নয়। পোশাকের স্বাধীনতার নামে এমন পোশাক পরা কখনই ঠিক না, যা পাবলিক নুইসেন্স বা গণ উৎপাত বা বিরক্তি তৈরি করে।

তার ভাষ্য, পাবলিক নুইসেন্স এক ধরনের ক্রাইম। তিনি আরো বলেন, প্রাইভেট প্লেস আর পাবলিক প্লেসের ড্রেস কখনো এক না। অনেকে পোশাকের স্বাধীনতার নামে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করে পাবলিক প্লেসে মানুষকে কষ্ট দেয়, এটা অবশ্যই অন্যায়। সে তার বাড়িতে সেই স্বাধীনতা পালন করুক, পাবলিক প্লেসে সবার মূল্যবোধ মেনেই তাকে চলতে হবে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়াদের একজন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রেহানা রাহী। তিনি বলেন, সংস্কৃতি অবশ্যই পরিবর্তনশীল। কিন্তু আমরা যে সংস্কৃতি গ্রহণ করবো, সেটা অবশ্যই আমাদের দেশীয় মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। আজকাল পোশাকের স্বাধীনতার নামে যে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করা হচ্ছে, তা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। এটা এক ধরনের কালচারাল টেরোরিজম।

এসময় শিক্ষার্থীরা পোশাকের নামে ‘পশ্চিমা অপসংস্কৃতি’ আমদানিকারকদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ