বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার

আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না: কাদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউকে আলোচনার জন্য ডাকা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি। গণতন্ত্র ব্যাকডোরে আলোচনা না। আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখনো দেখছি না। আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না। নির্বাচনকে সমানে রেখে এ ধরনের সংকট আমাদের দেশে নতুন নয়। কালো মেঘ ঘনিভূত হলেও তা কেটেও গেছে। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি মনে করি এ সংকট কেটে যাবে।

তিনি বলেন, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন আছে। সরকার আছে, বিরোধীদল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি যার জন্য যে সংবিধান আছে, সেই সংবিধান পরিবর্তন করে কোনো প্রকার বিকল্প প্রস্তাব, কারো অনুকূল সমর্থন করার সুযোগ নেই। আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেবো না। সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করবো না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন করতে হবে, সেই সংকটে আমরা পড়িনি।

তিনি আরও বলেন, তাদের অবস্থানটা কী? তাদের অবস্থান ক্ষমতায় যাওয়া না। তাদের অবস্থান শেখ হাসিনাকে হটানো। ক্ষমতায় যাওয়া তাদের লক্ষ্য নয়। বিএনপিও লক্ষ্য একটাই, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো।

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে যত গর্জে ততটা বর্ষে না। কারণ তারা ছিল একটি গণঅভ্যুত্থানের আশায়, সেখান থেকে নেমে এলো নীরব পদযাত্রা। এখন তারা সেখান থেকে নিঃশব্দ মানববন্ধনে নেমে এসেছে। তাদের আন্দোলনের গতি দেখলে বোঝা যায় তারা যতটুকু জনগণের অংশগ্রহণ আশা করেছিল তা হয়নি। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো গণআন্দোলন সম্ভব না। তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে মূলত আন্দোলন ছিল, সেটিও এখন কমে গেছে। তাদের আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না। তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থনৈতিক সংকট আছে। এটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগির থেমে যাওয়ার লক্ষণ নেই। সেই যুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এখনো চলছে। এর ফলে সারা দুনিয়ায় সংকট আছে। জনজীবন, তেলের দাম, ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ অনেক সংকট আছে। বাংলাদেশেও সংকট আছে। সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই একটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের জনগণ অনেক ধৈর্যশীল। সরকারের সদিচ্ছার প্রতি জনগণের আস্থা আছে। বিরোধীদল উস্কে দিলেও মানুষ তাতে অংশগ্রহণ করেনি। মানুষের জানমাল রক্ষায় সরকারের আন্তরিক প্রয়াসে জনগণের আস্থা আছে, তাই কোনো গণঅভ্যুত্থানের আশঙ্কা নেই।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ