শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

সৌদির যে খেজুর কারখানার সব কর্মীই নারী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সৌদি আরবের একটি খেজুরের প্যাকেজিং কারখানার শুরু থেকে শেষ সবকিছুই পরিচালনা করেন নারীরা। কারখানাটিতে শতাধিক নারী কাজ করেন। তাদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাউন্টিং, মান নিয়ন্ত্রণ এবং প্যাকেজিং থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পর্যন্ত সব ধরনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীই নারী।

ইবনে জাইদ নামের কারখানায় ডেট প্যাকেজ পরিবহনের জন্য একটি ফর্কলিফট চালান আকিলাহ আলি। তিনি বলেন, 'প্রথমে কিছু অসুবিধা ছিল- ভারী পরিবহন ট্রাক চালানো শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য বলে মনে করা হয়েছিল। তবে আমি খুশি যে আমি প্রমাণ করতে পেরেছি নারীরা নতুন ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে এবং সফল হতে পারে।'

ইবনে জাইদ কারখানা সৌদি আরবের আল-আহসায় অবস্থিত। এটি খেজুর উৎপাদন ও বিক্রি করে। স্থানীয় অনুমান অনুসারে, আল-আহসায় প্রায় ২০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে। এর থেকে প্রতি বছর ১ লাখ টন খেজুর উৎপাদন হয়।

কারখানাটি পূর্বে বিদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের দ্বারা পরিচালিত হতো। কিন্তু এর মালিক দেশটির শ্রমশক্তিতে নারীদের একীভূত করার নতুন দিকনির্দেশনা মেনে সৌদি নারীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।

কারখানাটি এখন পুরোপুরি নারীরাই পরিচালনা করে আসছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব নারীর উপস্থিতি বাড়াতে বেশ কিছু সংস্কার চালু করেছে। ২০১৭ সালে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ঘোষণা করেছিলেন যে, নারীরা গাড়ি চালাতে পারবে।

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ভিশন ২০৩০ সংস্কার পরিকল্পনাও চালু করেছেন। এর লক্ষ্য সৌদির অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা এবং নারীর শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

এরপর কয়েক ডজন মহিলাকে সরকারি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, অভিভাবকত্ব আইনটি নির্মূল করা হয়েছে এবং নারীদের একা থাকার জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই।

সূত্র: আল আরাবিয়্যাহ

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ