শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় এবং কাজা-কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি সাদেকুর রহমান।।

১. রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত কোন খাদ্য আহার করলে অথবা ওষুধ খেলে অথবা সিঙ্গা কিংবা সুরমা লাগানোর পর অথবা গীবত করার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত আহার করলে কিংবা পান করলে। আলমগিরি ১/২০৫ রদ্দুল মুহতার ৩/৩৮৬, ৩৮৮।

২. প্রিয়জনের প্রিয় থুথু ইচ্ছাকৃত গিলে ফেললে। ৩.ইচ্ছাকৃতভাবে বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা ইত্যাদি খেলে।

৪. ইচ্ছাকৃত স্ত্রী মিলন করলে। এক্ষেত্রে স্ত্রী স্বতঃস্ফূর্ত থাকলে তার উপরও কাজা- কাফফারা ওয়াজিব হবে। আর স্ত্রী রাজি না থাকলে বরং তার সাথে জোরপূর্বক করা হলে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে, কাফফারা নয়। আলমগিরি ১/২০৫।
এক ব্যক্তি রমজানে রোজা রেখে (ইচ্ছাকৃতভাবে) পানাহার করল। তখন রাসুলু (সা.) তাকে একটি দাস মুক্ত করা বা দুই মাস রোজা রাখা বা ষাটজন মিসকিনকে খাবার দেওয়ার আদেশ করলেন। (সুনানে দারাকুতনি, হাদিস নং: ২/১৯১)

ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, রমজানে রোজা রেখে ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে এর বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে দিনে সহবাসকারীর বিধানের মতো হবে। অর্থাৎ তাকে কাজা ও কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হবে। (মাবসুত, পৃষ্ঠা: ৩/৭৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৬)

৫.কামভাবের সাথে স্ত্রীকে স্পর্শ করল অথবা চুম্বল করল বা আলিঙ্গন করল, তবে বীর্যপাত হয়নি, কিন্তু সে মনে করল, রোজা ভেঙে গেছে, ফলে ইচ্ছাকৃত পানাহার করল,তাহলে তার উপর কাজা এবং কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। বাদায়িউস সানায়ে ২/৫৫৮।
৬. কেউ গোঁফে তেল লাগালো আর মনে করল রোজা ভেঙে গেছে, অতঃপর ইচ্ছাকৃত আহার করল, তাহলে তার উপর কাজা এবং কাফফারা উভয় ওয়াজিব হবে। বাদায়িস সানায়ে ২/২৫৮।

৭.বিনা ওজরে একই রমজানে এক বা একাধিক রোজা রাখার পর ভেঙ্গে ফেললে একটি কাফফারা ওয়াজিব হবে। আর রোজাগুলো একাধিক রমজানের হলে প্রত্যেক রমজানের জন্য এক একটি করে কাফফারা ওয়াজিব হবে। -রদ্দুল মুখতার : ৩/৩৯১।
কাফফারা কী?

১. একটি কৃতদাস আজাদ করা। (এখন যেহেতু দাস প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে, তাই বাকি দুই ভাবেই কাফফারা আদায় করতে হবে)

২. লাগাতার ৬০ টি রোজা রাখবে। এর সামর্থ্য না থাকলে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা পেট ভরে খানা খাওয়াবে অথবা ৬০ জন মিসকিনকে সদকায়ে ফিতর পরিমাণ গম, আটা, চাউল ইত্যাদি অথবা সমপরিমাণ নগদ টাকা দিবে। একজন মিসকিনকে ৬০ দিন দু বেলা খাওয়ালে ও কাফফারা আদায় হয়ে যাবে। আলমগীরী ১/৩০৫ , রদ্দুল মুহতার ৩/৩৯০।

কাফফারার রোজা রাখতে গিয়ে কোন কারণবশত ১/২ টি রোজা রাখতে না পারলে পুনরায় ৬০ টি রোজা রাখতে হবে। তবে পিরিয়ডের কারণে মহিলারা লাগাতার রোজা রাখতে না পারলে পিরিয়ড শেষ হওয়া মাত্রই রোজা রাখা শুরু করবে। রদ্দুল মুহতার ৩/৩৯০।

লেখক: মুফতি ও মুহাদ্দিস শেখ জনূরুদ্দীন রহ দারুল কুরআন মাদ্রাসা চৌধুরীপাড়া ঢাকা

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ