শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

এক আরব শায়েখের চোখে বাংলাদেশী শায়েখ মাওলানা আব্দুল মতিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা আশরাফুল আলম ।।

গতকাল (১৬ এপ্রিল) তারাবি পড়লাম শায়েখ আব্দুল মতিন সাহেব-এর মসজিদে। হুজুরের মসজিদের নিয়ম হচ্ছে প্রতি ৪ রাকাত পর মোটামুটি ভাল একটা বিরতি হয়। গতকাল প্রথম বিরতির সময় শায়খ হঠাৎ কথা বলে উঠলেন। আমি এবং মুসল্লিরাও অবাক! কারণ সাধারণত বিরতির সময় শায়খ কথা বলেন না। হঠাৎ কি হলো?!

শায়েখ বললেন, আজকে আপনাদেরকে একটা আনন্দের সংবাদ জানাতে চাই। বিকেলে একটা ফোন আসলো সৌদি আরব থেকে । জানতে চাইলো আপনি মাওলানা মাওলানা আব্দুল মতিন কি না? বললাম জি। ওপাশের ভদ্রলোক বললেন, আমি একজন বাঙ্গালী, আরবে থাকি, একজন শায়েখ-এর সাথে আমার সম্পর্ক আছে, উনি আমাকে আপনার খোঁজ নিয়ে জানাতে বলেছেন। উনি আপনার সাথে কথা বলতে চান। আর শায়েখ যেই আব্দুল মতিন সাহেবকে খুঁজতেছেন আপনিই যে সেই মাওলানা আব্দুল মতিন, এটা খুঁজে বের করতে আমার অনেক সময় লেগেছে।
যাই হোক, শায়েখ বললেন, আমার নাম্বার দিয়েন তাকে। যোগাযোগ হবে ইনশাল্লাহ। এটা হলো আসরের পরের ঘটনা।

ইফতারির পরপরই আবার ফোন আসলো। এবার অন্য নাম্বার থেকে। যিনি ফোন দিয়েছেন, নিজের পরিচয় দিলেন, আমি মুহাম্মাদ আহমদ আল হারিরি। কিং আব্দুল আজিজ ইউনিভার্সিটি জেদ্দার হাদীস ও উলুমুল হাদীস বিভাগের উস্তায। প্রথমেই বললেন, الشيخ أنا سررت جدا بكفاية المغتذي । তারপর যা বললেন তার বাংলা সারমর্ম হলো ‘শায়েখ আমি আপনার তিরমিযী শরীফের শরাহ (ব্যাখ্যাগ্রন্থ) ‘কিফায়াতুল মুগতাজি’ পরে এতো খুশি হয়েছি যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি এবং আমাদের ভার্সিটির অত্যান্ত প্রবীণ ও বড় দুজন আলেমও পড়েছেন। একজন হাইয়াতু কিবারিল উলামার সাবেক সদস্য সালিহ ইবনু আবদুল্লাহ আল উসাইমি। অন্যজন আদিল ইবনু আবদুল্লাহ আল আমরি। তাদের অনুভূতিও একই রকম। কিতাবটি যতটুকু পড়েছি শুধু আপনার জন্য দিল থেকে দোয়া এসেছে ।’এতটুকু বলে লম্বা চওড়া দোয়া করলেন। (যারা আরবদের চেনেন তারা জানেন আরবরা দোয়া করলে কি পরিমাণ দোয়া করেন)

তারপর আরো নানা প্রসঙ্গে কথা বললেন। শায়েখের (আব্দুল মতিন) উস্তায মাশায়েখদের খোঁজ নিলেন। কোথায় কোথায় পড়েছেন, দারুল উলুম দেওবন্দ এর কথা জিজ্ঞেস করলেন। সবশেষে বললেন, একটা আরজ ছিল আমরা তিনজন আপনার থেকে হাদীসের ইজাযত চাই। সব শুনে শায়েখ বললেন, "ঠিক আছে মৌখিক ইজাযত দেয়া হলো, কোনো দিন দেখা হলে সরাসরি ইজাযত দেয়া হবে ইনশাল্লাহ। তবে শর্ত হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত-এর আকীদার উপর থাকতে হবে।

পরে আরো কিছু কথা হয়েছে। মূল ঘটনা হলো এই।

হুজুরের (আব্দুল মতিন) একজন সাধারণ শাগরেদ হিসেবে এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের সংবাদ। কারণ আরবদের মাঝে গাইরে আরবদের ইলমী মাকামকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রবণতা চোখে পড়বার মত নয়। যদিও এই কিতাব সম্পর্কে আরও উলামায়ে কেরামের প্রশংসা এসেছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের ইলম, আমল, সময় সবকিছুতে বরকত দান করুক।

-একে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ