মুক্তি পাওয়ায় নাবিকদের বাড়িতে খুশির বন্যা
প্রকাশ:
১৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:৫৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তিপণের মাধ্যমে ছাড়া পেয়েছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। যদিও ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষায় ছিল পরিবারগুলো। অবশেষে শনিবার রাতে অক্ষত অবস্থায় নাবিকরা মুক্তি পাওয়ায় তাদের পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। এ বিষয়ে জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ খানের মা শাহনুর আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের তিন দিন পরেই যেন ঈদ এসেছে আমাদের ঘরে। আমার ছেলেসহ সবাই অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়েছে, এ খবর শোনার পর ভালো লাগছে সব। তারা এখন নিরাপদে দেশে ফিরলে টেনশন থেকে মুক্তি পাব। নাবিক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই দিনগুলো কীভাবে কেটেছে জানি না। আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে ঈদের আনন্দের দিন ছিল বিষাদে ভরা। আজ যেন আমাদের খুশির ঈদ। কেএসআরএম গ্রুপের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তারা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করেছে। আরেক নাবিক আইয়ুব খানের ভাই আওরঙ্গজেব রাব্বী দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। আজ মনে হচ্ছে সত্যিকারের ঈদ এসেছে। আমরা খুবই খুশি। কেএসআরএস কর্তৃপক্ষদের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ নাবিকের মধ্যে চট্টগ্রামে যাদের বাড়ি তারা হলেন- লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে বাড়ি ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল। নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ। খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির। নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম। নেত্রকোণার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন ও নাটোরের অর্ডিনারি সি-ম্যান মোহাম্মদ জয়। সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী। এর আগে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ৩১ দিন পর মুক্তি পান বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা। রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম। তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। হাআমা/ |