পাপ ও পুণ্যের বোঝা বহন করবে যারা
প্রকাশ:
১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৩৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মানুষের ওপর যেসব কারণে বিপদ আসে, তার অন্যতম হলো গুনাহ। গুনাহর কারণে জলে-স্থলে বিপর্যয় নেমে আসে। তার প্রভাব মানুষের জীবনযাত্রায় পড়ে। সর্বত্র অশান্তি ও নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়ে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে ফাসাদ প্রকাশ পায়। যার ফলে আল্লাহ তাদের কতিপয় কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদ করান, যাতে তারা ফিরে আসে। (সুরা : রুম, আয়াত : ৪১) এর পরের আয়াতেই মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘বলো, তোমরা জমিনে ভ্রমণ করো। অতঃপর দেখো পূর্ববর্তীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছিল। তাদের বেশির ভাগই ছিল মুশরিক।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ৪১-৪২) কারণ ইসলামে পরস্পর সহযোগিতার ভিত্তি হলো তাকওয়া। সৎকাজে একে অপরকে সহযোগিতা করা জরুরি। তবে গুনাহর কাজে তথা আল্লাহর নাফরমানির কাজে সহযোগিতা করা নিষেধ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা করো। মন্দকর্ম ও সীমা লঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা কোরো না। আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ আজাব প্রদানে কঠোর।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ২) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি অত্যাচারিত হয়ে খুন হয়, তাহলে সেই খুনের একাংশ (পাপ) আদম (আ.)-এর প্রথম পুত্রের (কাবিল) ওপর বর্তায়। কেননা সে সর্বপ্রথম খুনের প্রথা প্রচলন করেছিল। (মুসলিম, হাদিস : ৪২৭১) অতএব, আমাদের সবার দায়িত্ব গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন এমন কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কাউকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকা। এনএইচ/ |