‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’
প্রকাশ:
২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:৫৩ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ফিলিস্তিনের মজলুম গণমানুষের মুক্তির সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিরাট প্রতিবাদ সভা। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের উদ্যোগে আয়োজিত জনাকীর্ণ এ প্রতিবাদ সভায় দল মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। ইউকে জমিয়তের সভাপতি ডক্টর মাওলানা শুয়াইব আহমদের সভাপতিত্বে ও জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা হাফিজ মাসরুরুল হক। বিশেষ অতিথির আলোচনা পেশ করেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ। বিশেষ বক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন ইউকে জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট মিডিয়া ভাষ্যকার মুফতি আবদুল মুনতাকিম, কমিউনিটি নেতা কে,এম আবু তাহের চৌধুরী, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা ইমদাদুর রাহমান আলমাদানী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শায়খ ফয়েজ আহমদ, ফিলিস্তিনীদের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, সাবেক এমপি পদপ্রার্থী আজমল মাসরুর, ইউকে জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ, ইউকে জমিয়তের সহসভাপতি হাফিজ হুসাইন আহমদ বিশ্বনাথী ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরী প্রমুখ। সভায় অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ও বলিষ্ঠ কণ্ঠে বক্তারা বলেন, গাজা ফিলিস্তিনের মজলুম গণমানুষের ওপর পরিচালিত নৃশংস গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী পাশবিকতা ঈমানের উত্থাপ সমৃদ্ধ মুসলিম জনতা কোনো দিন ভুলতে পারবে না। সাম্রাজ্যবাদের যোগসাজশে চরমপন্থী ইহুদিবাদী শক্তি যেভাবে জাতিগত মুসলিম নির্মূলাভিযান অব্যাহত রেখে চলেছে, এর যথাযথ প্রতিকারের উপায় অবলম্বন তাৎক্ষণিকভাবে সমগ্র মানবজাতির আবশ্যিক দায়িত্ব। শতাব্দীর সবচেয়ে বীভৎস এ গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলীকরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন না করলে মুসলিম ও মুমিন হিসেবে আমরা কোনোভাবেই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে হাজিরা দেওয়ার সাহস করতে পারি না। আজ গাজা ফিলিস্তিনে মজলুমদের জিগর ফাঁটা আর্তনাদ, অপর দিকে নরপশুদের হিংস্র উল্লাসকে মানবতার জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম কলঙ্ক আখ্যায়িত করতে হবে। সকল আদিমতা আজ হার মেনেছে বর্তমান নির্মমতার কাছে। আজ ক্ষতবিক্ষত, ছিন্নভিন্ন ও অগ্নিদগ্ধ গাজা ফিলিস্তিনের ভয়াল বিনাশ যজ্ঞের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে ঐক্যবদ্ধ কার্যকর প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা সকল মুসলিমের ওপর সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ফরজ দায়িত্ব। কোনো উপনিবেশ রাষ্ট্র আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ পেতে পারে না। বক্তারা বলেন, ইসরায়েল যেহেতু একটি ভয়ঙ্কর কলোনি ষ্টেট। অবৈধ দখলদারিত্ব ও অন্যায় উচ্ছেদাভিযানই তার মূল ভিত্তি এবং মৌলনীতি, অপরদিকে সাম্রাজ্যবাদের বলয় ও যোগসাজশে তার টিকে থাকা। এদিকে সমগ্র মানবজাতির অবস্থা এই একটি মাত্র উপনিবেশ রাষ্ট্রের কারণে আজ মারাত্মক বিপন্ন।এজন্য এই বিষ দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করা সময়ের অপরিহার্য প্রয়োজন। এমতাবস্থায় সাম্রাজ্যবাদের সহযোগী হয়ে আরব দেশ গুলো আজ, ই সরাইলের মতো একটি বিষফোঁড়া লালন পালনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এজন্য ইসরায়েলি গণহত্যার ভয়াল বিনাশ যজ্ঞের অপরাধে সমান তালে আরব দেশগুলো আজ বলতে হবে শরিক রয়েছে। প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় জমিয়তের নির্বাহী সদস্য ও ইউকে জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা আশফাকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সেক্রেটারি মুফতি সালেহ আহমদ, খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল করিম মামরখানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শামসুল আলম কিয়ামপুরী, আল্লামা হবিগঞ্জী রহমাতুল্লাহি আলাইহির জামাতা মাওলানা মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, মুফতি শাহিদুর রহমান মাহমুদাবাদী, বিশিষ্ট আইনজীবী লিয়াকত সরকার,কবি আবু সুফিয়ান চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের ট্রেজারার হাফিজ রশিদ আহমদ, ইউকে জমিয়তের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মইন উদ্দিন খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগর শাখার সেক্রেটারি মুফতি সৈয়দ রিয়াজ আহমদ, ইউকে জমিয়তের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রস্তাব পাঠ করে শোনান মুফতি আবদুল মুনতাকিম ও মজলুম ফিলিস্তিনিদের জন্য সম্মিলিত মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রধান অতিথি মাওলানা হাফিজ মাসরুরুল হক। |