অবিলম্বে ইসলামবিদ্বেষী নারী কমিশন বাতিল করুন : খেলাফত মজলিস
প্রকাশ:
২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৩৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেতৃবৃন্দ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রদত্ত প্রতিবেদন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। এ কমিশন বাতিল ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ২৫ এপ্রিল দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী। বৈঠকে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘কমিশনের প্রতিবেদনে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। মুসলিম পারিবারিক আইন সংস্কার করে সকল ধর্মের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে নারী-পুরুষের কথিত সমান অধিকার থাকবে। স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করতে পারবে স্ত্রী। যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর করারও প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।’ ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নির্দিষ্ট মতাদর্শের রুচির বহিঃপ্রকাশ মাত্র। বেশকিছু প্রস্তাবনা পবিত্র কুরআনের বিধানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশের মুসলিম নারী সমাজ বাস্তবতা ও স্বকীয়তার সাথেও এর কোন সম্পর্ক নেই। যা ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের উপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। এসব প্রস্তাবনা দেশের ধর্মীয় ভারসাম্য ও পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এই কমিশনের সদস্যরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এরা নারীদের সর্বসাধারণের আদৌ প্রতিনিধিত্ব করে না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাই। তাদের সকল বিতর্কিত প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যানের দাবি জানাই।’ বৈঠকে ইসলামবিদ্বেষী নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের প্রতিবেদন বাতিল এবং ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ২৫ এপ্রিল দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস। রাজধানীতে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শায়খুল ইসলাম, যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, আমির আলী হাওলাদার, অ্যাডভোকেট মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এমএইচ/ |