শাপলায় শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি
প্রকাশ:
০৫ মে, ২০২৫, ০৫:০৭ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অভিযানে যারা নিহত হয়েছেন তাদের শহীদ খেতাব দিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে এই দাবি জানানো হয়। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যার প্রতিবাদে এই মানবপ্রাচীরের আয়োজন করে ইসলামী ছাত্রশিবির। মানবপ্রাচীরে প্রধান অতিথি শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠা দিয়ে গণহত্যা, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়–পরবর্তী গণহত্যা, ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যা কিংবা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এসব গণহত্যায় শহীদের সংখ্যা নিরূপণ ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশ ও জাতিসত্তার ইতিহাস লিখতে হলে এ ভূখণ্ডে মুসলিমদের বাদ দেওয়া যাবে না। তাঁদের অবদান অনেক বেশি। মানবপ্রাচীরে অংশ নেন নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর গণহত্যায় তাঁর ছোট ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছোট ভাই কোনো সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি ছিল না। ইসলামের অবমাননার প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশে অংশ নিয়েছিল সে। কিন্তু তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, শাপলায় শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হোক।’ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু মূসা, শিক্ষা সম্পাদক মাহিনুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান প্রমুখ। এমএইচ/ |