শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানোসহ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ২০ দফা দাবি
প্রকাশ: ২৫ মে, ২০২৫, ০৪:৩৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানোসহ ২০ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলাম ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। 

রোববার (২৫ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর-এর সভাপতিত্বে দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শিক্ষা বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান।

২০ দফা দাবি-

১.    গবেষনাবান্ধব শিক্ষামুখী বাজেট প্রদান করতে হবে।
২.    দেশের সকল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।
৩.    নৈতিকতা সমৃদ্ধ জাতিগঠনে শিক্ষার সর্বস্তরে কুরআন ও ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৪.    প্রাথমিক স্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকল্পে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান।
৫.    শিশুদের জন্য পাঠদান কে আনন্দঘন ও আকর্ষণীয় করার উদ্দেশ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাদান নিশ্চিতকল্পে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বরাদ্দ প্রদান।
৬.    কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান 
৭.    একটি আন্তর্জাতিক মানের মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান 
৮.    বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যয়ভার কমাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
৯.    শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহজ শর্তে ঋণগ্রহণ ব্যবস্থা চালু ও তা সহজলভ্য করতে হবে।
১০.    নারী শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাফেরা, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তাবিত বাজেটে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
১১.    দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্টিনে খাবার মান বৃদ্ধি ও হলে যথাযথ সিট ব্যবস্থা করতে হবে।
১২.    কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়নে থেকে বরাদ্দ দিতে হবে।
১৩.    কওমি মাদরাসার তাকমিল (মাস্টার্স) এর সার্টিফিকেট কে সাধারণ মাস্টার্সের সার্টিফিকেটের মত সমমানের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১৪.    কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের দেশে ও দেশের বাহিরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টিতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
১৫.    আলিয়া শিক্ষার অবকাঠামো নির্মাণ ও সম্প্রসারণে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান। 
১৬.    প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কামিল মাদ্রাসার স্থাপনে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান।
১৭.    প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে বেশি বাজেট প্রদান করতে হবে।
১৮.    মৌলিক চাহিদার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে।
১৯.    মুখস্ত নির্ভর ও সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২০.    গণমানুষের চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিতকল্পে চিকিৎসক তৈরিতে প্রতিটি জেলায় একটা করে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে হবে। ও তাদের কর্মসংস্থান তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হুসাইন নূর, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হোসাইন ইবনে সরোয়ার, দাওয়াহ ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম খলিল, অর্থ ও কল্যান সম্পাদক এস এম কামরুল ইসলাম, যোগাযোগ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ইউসুফ পিয়াস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক উবায়দুল্লাহ মাহমুদ, কওমি মাদরাসা সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ ইমাম মাহদী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবদুল আজিজ নোমান, কার্যনির্বাহী সদস্য এম ইব্রাহীম নাসরুল্লাহ, সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সভাপতি সোহরাব হোসেন ফজলে, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ মাইনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর সহ-সভাপতি নেয়ামতুল্লাহ বিন হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তর-এর সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জসিম উদ্দীনসহ ঢাকা মহানগর ও ঢাকাস্থ ক্যাম্পাস নেতৃবৃন্দ।

এসএকে/