রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রায় মসজিদভিত্তিক জনশক্তির ব্যবহার
প্রকাশ:
২৭ মে, ২০২৫, ০৩:০৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
শায়খ আহমাদুল্লাহ এদেশের শহর-গ্রামে, পাহাড়-সমতলে মানবদেহের শিরা-উপশিরার মতো ছড়িয়ে আছে অসংখ্য মসজিদ। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত দেশের মোট মসজিদের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। বর্তমানে তা নিশ্চয়ই বেড়েছে বৈ কমেনি। তা ছাড়া পরিসংখ্যানের বাইরেও কিছু মসজিদ নিশ্চয়ই আছে। সব মিলিয়ে দেশে প্রায় চার লাখ মসজিদ আছে বলা যায়। মসজিদ এবং মসজিদকেন্দ্রিক জনবল দেশের জন্য মস্ত বড় নেয়ামত। যদিও এই নেয়ামতের রাষ্ট্রীয় ব্যবহার নেই বললেই চলে। মসজিদ মানে শুধুই একটি অবকাঠামো বা বিল্ডিং নয়। বরং একেকটি মসজিদ একেকটি সামাজিক নেটওয়ার্ক। সে হিসেবে চার লাখ মসজিদ মানে চার লাখ নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, মন্ত্রণালয় থেকে ইউনিয়নপর্যায় পর্যন্ত সরকারি অফিসের সংখ্যা ৪৬,৬৫৪। তার মানে সরকারি অফিসের চেয়েও সংখ্যায় অন্তত মসজিদ বেশি। এই বিশাল অবকাঠামো, জনবান্ধব নেটওয়ার্ক এবং বিপুল সম্ভাবনাময় জনশক্তি দিয়ে ব্যাপক জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও পৃষ্ঠপোষকতা। দেশের চার লাখ মসজিদে অন্তত আট লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন রয়েছেন। আবার প্রত্যেক মসজিদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ত্যাগী, কর্মমুখী, স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়ার মানসিকতাসম্পন্ন মানুষের সংখ্যাও অনেক। সে হিসেবে চার লাখ মসজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্যমী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় কয়েক মিলিয়ন। এই বিশাল নেটওয়ার্ক এবং জনশক্তির সঠিক ও ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্র নানাভাবে উপকৃত হতে পারে। ইসলামের ইতিহাসে মসজিদ শুধু নামাজের জন্যই ব্যবহৃত হয়নি। নবীজির (সা.) মসজিদ ছিল সহায়-সম্বলহীন ‘আসহাবে সুফফা’র আশ্রয়কেন্দ্র। আসহাবে সুফফার সদস্যরা মসজিদে নববিতে আশ্রয়ের পাশাপাশি জ্ঞান আহরণ করতেন। আবার রাসুল (সা.) মসজিদ থেকে অভুক্তদের আহারের উদ্যোগ নিতেন। শিক্ষা ও মানবসেবার পাশাপাশি শাসন, শরণার্থী সেবা ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের কেন্দ্র ছিল মসজিদে নববি। এমনকি কখনো কখনো মসজিদে নববি কয়েদি রাখার কাজেও ব্যবহৃত হতো। এক কথায় রাসুল (সা.)-এর মসজিদ ছিল রাষ্ট্রের আধ্যাত্মিক, সামাজিক, শিক্ষাগত ও মানবিক কার্যক্রমের কেন্দ্র। সুলতান সুলেমানের আমলে তুরস্কের মসজিদগুলো চিকিৎসাসেবা, মুসাফিরখানাসহ নানা ধরনের সেবামূলক কাজে নিয়োজিত থাকত। আজও সুলতান আমলের মসজিদগুলোর বিশাল চৌহদ্দিতে সেসব ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিচিহ্ন লক্ষ করা যায়। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মসজিদ চত্বরে শিশুপার্ক এবং শিশু-কিশোর-তরুণদের জন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের ব্যবস্থাপনা থাকে। এর ফলে তারা নির্মল পরিবেশে সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠতে পারে। মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য মুসলিম দেশ এবং পশ্চিমা বিশ্বের মসজিদগুলো সমাজের বহু কল্যাণমূলক কাজে মুখর থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এত বড় মুসলিম অধ্যুষিত দেশ বাংলাদেশ, চোখ মেললেই যেখানে মসজিদের মিনার দেখা যায়, সে দেশের প্রায় সব মসজিদ শুধুই নামাজের জন্য নির্ধারিত। নামাজ ছাড়া মসজিদগুলোর মুকুটে ভিন্ন কোনো পালক নেই। এটা হতাশাজনক। অথচ চাইলে দেশের মসজিদকে কেন্দ্র করে বহু সামাজিক কাজ আঞ্জাম দেওয়া সম্ভব। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। বন্যা, খরা ও ঝড় দেশবাসীর চিরসঙ্গী। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধার তৎপরতা, আশ্রয়, ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনে সরকার মসজিদ ও এর সঙ্গে যুক্ত জনগোষ্ঠীর সহায়তা নিলে যেকোনো দুর্যোগের ক্ষতি সহজেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। যে কটি ভয়াবহ সমস্যা এ দেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে, মাদক তার অন্যতম। মসজিদের মিম্বার ব্যবহার করে ইমাম-খতিবরা দেশবাসীকে সবসময়ই মাদকের ব্যাপারে সতর্ক করে থাকেন। কিন্তু মাদকাসক্তি এমন এক প্রবণতা, শুধু বয়ানের মাধ্যমে যা নির্মূল বা নিরাময় করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্র কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ। যদিও এ বিষয়ে রাষ্ট্রের নানা ধরনের কর্মসূচি আছে। কিন্তু সমস্যার বিশালতার তুলনায় তা অপ্রতুল। মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন ও মূল্যবোধ বিনির্মাণ, মাদক নির্মূল, মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনে সরকার যদি মসজিদের বিশাল জনশক্তিকে ব্যবহার করে, তবে মাদকের কলঙ্ক থেকে এ দেশ অনেকটাই মুক্তি লাভ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। একটি দেশের নাগরিকদের মানসিকতা ও রুচি বোঝা যায় তাদের পরিচ্ছন্নতার বোধ থেকে। দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, দেশের পথঘাট, নালা-নর্দমা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আঙিনা ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব হয়ে থাকে। শহরের ড্রেনগুলো পানির বোতল, চিপসের প্যাকেট, ডাবের খোসায় প্রায়ই বন্ধ হয়ে যেতে দেখা যায়। এর ফলে এডিসসহ নানা ধরনের জীবাণুবাহী মশার বংশবিস্তার ঘটে। লাখ লাখ মানুষ ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। এ সংকট দূর করতে ব্যাপক সামাজিক জনসচেতনতা, স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম ইত্যাদি পরিচালনার ক্ষেত্রে মসজিদের বিকল্প আরেকটি নেই। আমরা কিশোর গ্যাংসহ বহু অনাচারের সঙ্গে নিত্য লড়াই করে চলেছি। তরুণদের নৈতিক অধঃপতন চরমে। ইভটিজিং, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মাদকাসক্তি আমাদের তরুণদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি পরিবার বখে যাওয়া সন্তানদের জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। মসজিদ হতে পারে এসব উচ্ছৃঙ্খল তরুণদের সংশোধনাগার। এর জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা। অপরাধপ্রবণতা, দাম্পত্য কলহসহ নানা সামাজিক সমস্যা আমাদের অগ্রযাত্রার পথে বাধা। এসব সমস্যা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারে মসজিদগুলো। আমাদের পরিবার ব্যবস্থাপনা দিন দিন ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে। পারিবারিক কলহ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বেশিরভাগ ঘটনায় বিশ্বস্ত কারো বুদ্ধিদীপ্ত মধ্যস্থতায় এগুলো সুরাহা করা সম্ভব। নানা কারণে ইমাম ও খতিবের প্রতি এলাকার মানুষের আস্থা অনেক। প্রয়োজন তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ। রাষ্ট্র যদি ইমাম-মুয়াজ্জিনকে ফ্যামিলি কাউন্সিলিংসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে, তবে দিনশেষে এর সুফল দেশের নাগরিক তথা রাষ্ট্রই ভোগ করবে। এ ছাড়া পরিবেশ সুরক্ষা, বৃক্ষরোপণ, আদমশুমারি, বিয়ে, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ সরকারকে নানা ধরনের সামাজিক কাজ করতে হয়। এ ধরনের কাজের সঙ্গে মসজিদকে সম্পৃক্ত করা সময়ের দাবি। কারণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠীর যেকোনো কল্যাণমুখী সামাজিক কাজের ক্ষুধা রয়েছে। আবার প্রত্যক্ষভাবে ধর্ম পালনের কারণে তাদের ভেতর অসততা, লোভ, দুর্নীতির জীবাণু তুলনামূলক কম। ফলে এই সৎ, উদ্যমী, ভালো কাজে তাড়িত জনগোষ্ঠীর হাতে এ ধরনের কাজের ভার অর্পণ করলে অল্পদিনেই এর বৃহৎ সুফল আমরা দেখতে পাব। ইউরোপের অনেক দেশের সরকার গির্জার মাধ্যমে তাদের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তাদের তুলনায় আমাদের মসজিদভিত্তিক লোকবলের সংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও রাষ্ট্রীয় কাজে এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করা দুঃখজনক ঘটনা। তবে হ্যাঁ, মসজিদভিত্তিক জনশক্তির পূর্ণ সুফল ভোগ করতে হলে এই জনগোষ্ঠীকে যথাযথ প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। এতে একদিকে যেমন জনসংখ্যা জনশক্তিতে পরিণত হবে, পাশাপাশি তাদের মাধ্যমে দেশ ও সমাজ উপকৃত হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতি এই মাটির বাস্তবতা। মসজিদ ও আলেমদের প্রতি দেশের মানুষের গভীর আস্থা এবং বিশ্বাস রয়েছে। দেশের প্রতিটি মসজিদ ও এর দায়িত্বশীল ইমাম-মুয়াজ্জিনরা নিবিড়ভাবে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর সামাজিক শক্তি ও মূল্য অনেক। রাষ্ট্রের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের কাজে লাগাতে হবে। মসজিদের শক্তির বিষয়টি আমরা জুমার খুতবা দিয়েও উপলব্ধি করতে পারি। জুমার মিম্বার এমন একটি জায়গা, যে জায়গাটি সাত দিন পরপর অনিবার্যভাবে কথা বলে ওঠে। একটু ভাবুন, সাত দিন পরপর বাংলাদেশের চার লাখ মসজিদের চার লাখ খতিব (গড়ে দেড় শ মানুষ উপস্থিত হলে) প্রায় ছয় কোটি মুসল্লির সামনে কোরআন, হাদিস, নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং সমকালীন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছেন। আবার শ্রোতারা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিগত দিনগুলোর সব কাজের ক্লান্তি ঝেড়ে, গোসল করে, পরিচ্ছন্ন পোশাক পরে মনোযোগী ছাত্রের মতো খুতবা শুনছেন। এর প্রভাব অনন্য। সবগুলো মিডিয়াতেও একসঙ্গে এত দর্শক থাকেন না। সুতরাং জনগণের কাছে যেকোনো বার্তা কার্যকরভাবে পৌঁছানোর সর্বোত্তম উপায় মসজিদের মিম্বারগুলো। শুধু এদেশ নয়, সারা পৃথিবীতেই সাত দিন পরপর সমাজের সাধারণ ও প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সামনে ঘণ্টাব্যাপী কথা বলার এই ব্যবস্থাপনা মসজিদ ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় না। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে এ জাতির জন্য অনেক বড় নেয়ামত। দেশের আলেম-খতিবরা আল্লাহর দেওয়া এই নেয়ামত ও সুযোগের যথাযথ হক আদায়ের চেষ্টা করে থাকেন। দ্বীনের মৌলিক শিক্ষা তো মিম্বার থেকে দেওয়া হয়-ই, পাশাপাশি সামাজিক অবক্ষয়, সংকট ও অস্থিরতা তৈরি হলে খতিবরা সে বিষয়েও জনগণকে সতর্ক করেন। দেশে যখন ধর্ষণ বেড়ে যায়, খতিবরা ধর্ষণের ভয়াবহতা, শাস্তি এবং এর ইহ-পরকালীন ক্ষতির বিষয়ে যুবকদের সজাগ করেন। দেশে যখন হত্যা, রাহাজানি, যৌতুক, মাদক, দুর্নীতি বেড়ে যায়, আলেমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেসব বিষয় নিয়েও সময়োপযোগী আলোচনা উপস্থাপনা করেন। যৌতুকের অভিশাপ থেকে আমরা পুরোপুরি মুক্ত হতে না পারলেও অনেকখানি কমে গেছে। সামাজিকভাবে যৌতুককে এখন ঘৃণার চোখে দেখা হয়। এর পেছনে মসজিদের মিম্বারগুলোর বিশেষ অবদান আছে। আর এসব কারণেই, এক-একটি মিম্বার হয়ে ওঠে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ও জনতার আশা-ভরসার প্রতীক। সমাজের বুকে মিম্বারের প্রভাব ও গুরুত্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরাও অবগত। এ কারণে জঙ্গিবাদ, মাদক, হত্যা ইত্যাদির মতো ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী সহিংসা বেড়ে গেলে এবং করোনা ও ডেঙ্গুর মতো রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব ঘটলে রাষ্ট্রের তরফ থেকে খতিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়, খতিবরা যেন এ বিষয়ে জুমার দিনে আলোচনা করেন। আবার মুসল্লিরা কোনো সমস্যা ও সংকটের মুখোমুখি হলে তারাও সে বিষয়ে খুতবা দেওয়ার জন্য খতিবদের অনুরোধ করেন। এভাবে একজন আলেম-খতিব মিম্বার ব্যবহারের মাধ্যমে আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মসজিদের অবকাঠামো এবং এর জনশক্তির যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, তার একটি উদাহরণ দিই। গত ১১ মে ডিএনসিসি প্রচণ্ড দাবদাহে হিট স্ট্রোক এবং তাপজনিত অসুস্থতা থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতে বেলা ১১টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত মসজিদগুলো খোলা রাখতে অনুরোধ করেছে। এটি মসজিদভিত্তিক জনশক্তির অপার সম্ভাবনার একটি ক্ষুদ্র প্রমাণ। মিম্বারের ভূমিকাবিষয়ক আলোচনা অবতারণার কারণ হলো, প্রতি জুমায় নিয়মিত ধর্ম ও নৈতিকতার শিক্ষা পেয়ে দেশের মুসল্লিরা কল্যাণমূলক কাজের জন্য প্রস্তুত হয়েই আছেন। এখন প্রয়োজন শুধু তাদের উপযুক্ত কাজে ব্যবহার করা। একটি বিশাল ধার্মিক-নৈতিক জনগোষ্ঠী, যারা রাষ্ট্রের হয়ে সমূহ হীতকর্মের জন্য মানসিকভাবে তৈরি, রাষ্ট্রগঠনে তাদের যদি ব্যবহার না করে উপেক্ষা করা হয়, তবে সেই রাষ্ট্রের পক্ষে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন। সরকার যদি যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা-পূর্বক এই জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত কাজে ব্যবহার করতে পারে, তবে তারা রাষ্ট্রের নানা দুর্যোগ-দুর্বিপাকে ত্রাণকর্তার ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সৌজন্যে: দৈনিক আমার দেশ লেখক: চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, বিশিষ্ট দাঈ আরইচ/ |