কন্যা মানেই ভালোবাসা, কন্যা মানেই আল্লাহর সেরা উপহার
প্রকাশ:
২৮ মে, ২০২৫, ১০:১৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
নাজমুল হাসান।আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে পুরুষ ও নারী—এই দুই রূপে সৃষ্টি করেছেন। সন্তান দান করা সম্পূর্ণই তাঁর ইচ্ছাধীন বিষয়। তিনি কারো ঘরে কন্যাসন্তান দান করেন, কাউকে পুত্রসন্তান দেন, আবার কাউকে উভয়ই দান করেন। কেউ কেউ সন্তানবঞ্চিত থাকেন—সবকিছুই আল্লাহর জ্ঞান ও হিকমতের অন্তর্ভুক্ত। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের সমাজে এখনো কন্যাসন্তানের জন্মকে অনেকেই খুশি মনে গ্রহণ করেন না। পুত্রসন্তান হলে যেমন আনন্দের বন্যা বয়ে যায়, মিষ্টি বিতরণ হয়, তেমনি কন্যাসন্তানের ক্ষেত্রে অনেক সময় নীরবতা, আফসোস, এমনকি লজ্জাও দেখা যায়। কিছু পরিবারে কন্যাসন্তানের জন্য স্ত্রীকে অপমানও করা হয়, যা একেবারেই অন্যায় ও ইসলামবিরোধী। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
এ আয়াত স্পষ্ট করে দেয়—সন্তান হওয়া বা না হওয়া, ছেলে হবে না মেয়ে—এ সবই আল্লাহর কুদরত ও ইচ্ছায় নির্ধারিত। এতে কোনো মানুষের হস্তক্ষেপ বা অনুযোগের জায়গা নেই। ইসলাম কন্যাসন্তানের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেইসলামের আগমনের আগে আরব সমাজে কন্যাসন্তান জন্ম এক লজ্জার ব্যাপার ছিল। অনেকেই কন্যাশিশুকে জীবন্ত পুঁতে ফেলত। ইসলাম সেই অমানবিক রীতির অবসান ঘটিয়েছে এবং কন্যাসন্তানকে সম্মানের আসনে বসিয়েছে। আল্লাহ বলেন,
কন্যা—জান্নাতের পথ দেখায়রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
অতএব, কন্যাসন্তান কোনোভাবেই বোঝা নয়, বরং জান্নাতের সোপান। আমাদের করণীয়
পরিশেষে বলা যায়, কন্যা মানেই আল্লাহর সেরা উপহার। কন্যা মানেই ভালোবাসা, বরকত আর জান্নাতের দাওয়াত। আসুন, কন্যাসন্তানদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি। এনএইচ/ |