মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির ফলে ইন্টারনেট শুধু শহরের সীমায় সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম-গঞ্জের ঘরে ঘরে। একসময় যা ছিল বিলাসিতা, আজ তা হয়ে উঠেছে প্রয়োজন। ইন্টারনেট এখন শিক্ষা, কৃষি, ব্যবসা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ—সব ক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলো 4G সেবা পৌঁছে দিচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকায়। শহরেতো বটেই ইতোমধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজনও আর মোবাইল নেটওয়ার্কে সীমাবদ্ধ নেই, ইন্টারনেটের তার ছড়িয়ে পড়ছে আনাচে কানাচে, সংযুক্ত হচ্ছে ওয়াইফাই সুবিধা। এই ওযাইফাই নিয়েও সমস্যা রয়েছে বিস্তর! দেখা যায়, দিনের অনেকটা অংশ ওয়াই-ফাইয়ের গতি ধীর থাকে। যদি এরকম হয়, এমন কিছু কৌশল আছে, সহজেই ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

 রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করুন

যদি মাঝে-মধ্যে বা বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকে তাহলে প্রথমেই রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করুন। এবং সেটা ঘরের মাঝামাঝি ও উঁচু স্থানে রাখলে ভালো হয়। দেয়াল বা ধাতব বস্তুর কাছে না রাখাই ভালো।

অব্যবহৃত ডিভাইস ডিসকানেক্ট করুন

বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস সংযুক্ত থাকলেও রাউটার ধীর গতির হয়ে যেতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয়,  মোবাইল বা অব্যবহৃত ডিভাইস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।

রাউটার রিস্টার্ট দিন অথবা চ্যানেল পরিবর্তন করুন

মাঝে মাঝে রিস্টার্ট করলে গতি ভালো হতে পারে। Wi-Fi রাউটার অনেক সময় "Congested Channel" এ চলে যায়। সেটিংসে গিয়ে অন্য চ্যানেলে সুইচ করুন।

ফার্মওয়্যার আপডেট কিংবা ব্যান্ড পরিবর্তন করুন

রাউটারের সফটওয়্যার আপডেট করলে পারফরম্যান্স বাড়ে। ৫GHz ব্যান্ড সাধারণত দ্রুততর, তবে দূরত্বে ২.৪GHz ভালো কাজ করে।

পাসওয়ার্ড দিন

আপনার অজান্তে অনেকেই এই রাউটার সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। এ কারণেও কমে যেতে পারে গতি। অন্যরা যেন বিনা অনুমতিতে ব্যবহার না করে, পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করুন।

মাঝে-মধ্যে রাউটার বন্ধ রাখুন

আপনি প্রতি তিন-চার দিন অন্তর রাউটারটি ৫-১০ মিনিটের জন্য বন্ধ করে রাখুন। কারণ এতে রাউটারের শক্তি বা কর্মক্ষমতা বজায় থাকবে। সেই সঙ্গে রাউটারে ধুলো-ময়লা জমলে সেগুলোও পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার, যা না করলে আপনার ইন্টারনেটের পারফরম্যান্স কমতে পারে। 

গেস্ট ডিভাইস সংযোগ

আর রাউটারের পেছনে থাকা ডব্লিউপিএস বাটনের মাধ্যমে কোনো পাসওয়ার্ড ছাড়াই গেস্ট ডিভাইসে সংযোগ করে নিন। এতে ওয়াই-ফাইয়ের স্পিড দ্বিগুণ হবে।

তারপরও যদি কাজ না হয় প্রয়োজনে, স্পিড টেস্ট করে বুঝে নিতে পারেন কোথায় সমস্যা বেশি হচ্ছে।

 এনএইচ/