চামড়া নিয়ে কারসাজি ও একটি বিকল্প প্রস্তাব
প্রকাশ:
০৮ জুন, ২০২৫, ০৫:০৮ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
|| মুফতি এনায়েতুল্লাহ || খবর: সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে না চামড়া, দাম ৭০০-৯০০ টাকা। মন্তব্য: ঢাকার কোনো কোনো মাদরাসায় সর্বোচ্চ ২ হাজার চামড়া কালেকশন হয়েছে। সাদা চোখে যদি হিসাব করি, তাহলে দেখা যাবে বেশি দামে বিক্রি করলে তারা মূল্য পাচ্ছেন ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু-১: চামড়াগুলোর সব বিনামূল্যে পায়নি, কিছু দাম দিতে হয়েছে। মানে আয় যা ভাবছেন, ততটা নয়। কিন্তু-২: চামড়া বিক্রির টাকা তিন-চার মাস পর্যন্ত বাকি থাকে। কিন্তু-৩: যে মাদরাসা ২ হাজার চামড়া পায়, সেই মাদরাসায় অন্তত হাজার দেড়েক ছাত্র আছে, তারা কোরবানির সময় ১ হাজার টাকা করে বিশেষ অনুদান দিলে চামড়া সংগ্রহ করে পাওয়া টাকার চেয়ে বেশি টাকা হয়। কিন্তু-৪: ঢাকার সাধারণ মাদরাসাগুলোতে বছরে খরচ হয় ৫-৬ কোটি টাকা। এটাও কিন্তু সাধারণ মানুষের দান-সহযোগিতা থেকে আসে। এ জন্য বিশাল কোনো আয়োজন করতে হয় না, বিপুল পরিমাণের জনবল খরচ হয় না। আল্লাহর রহমতে ব্যবস্থা হয়ে যায়। প্রশ্ন হলো, তাহলে লাখ বিশেক টাকার জন্য এত হাহাকার কেন? একটা সময় চামড়ার ব্যাপক দাম ছিল, তখন ট্যানারির মালিকরা তুলনামূলক সৎ ছিল, তারা চামড়ার নিয়ে নয়-ছয় করতো না। এখন ট্যানারির মালিকদের অধিকাংশই টাউট, সিন্ডিকেটবাজ, চামড়ার ব্যবসার আড়ালে গয়রহ অনৈতিকতা কারসাজিতে জড়িত। অন্যদিকে কোরবানিদাতারা মনে করে, চামড়া তো হুজুররা নিবেই, এটা তাদের দায়িত্ব। ফলে চামড়াকে তারা যক্ষের ধন ভেবে মানহানিকর নানা ব্যবহার করে। তাহলে আমরা কী করবো? আল্লাহর রহমতে বছরে ৫-সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার ব্যবস্থা হলে, বিশ লাখেরও হবে। লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশ্লেষক| এমএম/ |