“হিকমত ও প্রযুক্তির সম্মিলনে মাদ্রাসা ছাত্র হোক দ্বীনের আলোকবর্তিকা”
প্রকাশ:
১৩ জুন, ২০২৫, ০৯:০৬ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
প্রতিবেদন: OUR ISLAM ডেস্ক “দাওয়াত একটি দায়িত্ব, প্রযুক্তি হতে পারে এর বাহন; আর হিকমত সেই বুদ্ধিমত্তা, যা এটি পৌঁছে দেয় মানুষের হৃদয়ে।” কালের প্রয়োজনে বদলে যাচ্ছে দাওয়াতের ভাষা ইসলামের দাওয়াত এক চিরন্তন আহ্বান। তা কখনো পথের মোড়ে, কখনো জুমার মিম্বরে, আবার কখনো কলম কিংবা কণ্ঠে প্রকাশ পায়। কিন্তু আজকের যুগে এই দাওয়াত পৌঁছাতে প্রযুক্তিই হয়ে উঠছে অন্যতম হাতিয়ার। যে যুগে একটি ভিডিও ক্লিপ লক্ষ মানুষের অন্তরে আলো জ্বালাতে পারে, সে যুগে কেবল পুরনো পদ্ধতির ওপর নির্ভর করলেই চলবে না। মাদ্রাসা ছাত্ররাও এই আলোকিত দাওয়াতি যাত্রায় হতে পারে হিকমত ও প্রযুক্তির সেতুবন্ধন। কুরআনের ভাষায় দাওয়াতের চিত্র আল্লাহ তাআলা বলেন: ﴿ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ﴾ “আপনার প্রতিপালকের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করুন।” (সুরা আন-নাহল: ১২৫) এখানে ‘হিকমত’ শব্দটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই হিকমতের মধ্যে রয়েছে সময়োপযোগী দাওয়াতের ভাষা ও কৌশল, যা আজকের যুগে প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারকেও অন্তর্ভুক্ত করে। মাদ্রাসা ছাত্র কেন গুরুত্বপূর্ণ? মাদ্রাসা ছাত্ররাই দ্বীনের মূল উত্তরাধিকারী। তাদের কাছে কুরআন, হাদীস ও দীনের খাঁটি জ্ঞান থাকে। এই জ্ঞান যদি প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায়—তাহলে শুধু একটি দেশ নয়, পুরো দুনিয়ার মানুষের উপকার হতে পারে। কীভাবে প্রযুক্তিকে হালাল দাওয়াতি কাজে ব্যবহার করা যায়?
কীভাবে শুরু করবেন?
উদাহরণ: হিফজ করা এক ছাত্র প্রতিদিন সুন্দর ক্বিরাত ভিডিও আপলোড করে। আরেকজন ভাই শুধুমাত্র সংক্ষিপ্ত হাদীস বা দুয়া পোস্ট করেন। একজন ফারেগ ছাত্র ইউটিউবে “ইসলামি তরুণদের জন্য প্রোডাক্টিভ লাইফ” নিয়ে সিরিজ শুরু করেছেন। তারা কেউ নামকরা বক্তা নন, কিন্তু প্রযুক্তির সাহারা নিয়ে তারা প্রতিদিন হাজারো মানুষকে দ্বীনের দিকে ফিরিয়ে আনছেন। দাওয়াত শুধু জ্ঞান নয়, তা হিকমতের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হয়। আর বর্তমান যুগে প্রযুক্তি সেই হিকমতের অন্যতম বাহন। মাদ্রাসা ছাত্রদের প্রতি সময়ের আহ্বান—তোমার হাতে আছে কুরআন, তোমার মাথায় আছে হিকমত, আর এখন প্রযুক্তি তোমার সঙ্গী হোক। তুমি হয়ে উঠো দাওয়াতের সেই আলোকবর্তিকা, যে আলো শুধু নিজের নয়—অন্যদের অন্ধকারও দূর করে। এনএইচ/
|