লটকনে ভরে মন
প্রকাশ:
১৩ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বাংলাদেশের বর্ষাকালে বাজারে যেসব ফলের সমারোহ দেখা যায়, তার মধ্যে লটকন অন্যতম জনপ্রিয়। হলুদাভ রঙ ও মিষ্টি-টক স্বাদের এই ছোট ফলটি শুধু রসনাতৃপ্তিই নয়, বরং শরীরের জন্যও দারুণ উপকারী। গ্রামের গাছ থেকে শহরের ফলের দোকান পর্যন্ত, লটকন এখন সর্বত্রই পরিচিত একটি নাম। চেনা মুখ লটকন লটকনের বৈজ্ঞানিক নাম Baccaurea motleyana। এটি মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও বাংলাদেশে বিশেষভাবে প্রচলিত। টুকটুকে হলুদ চামড়া ভেদ করে এর ভিতরের সাদা অংশে রয়েছে মিষ্টি ও হালকা টক স্বাদ, যা ছোট-বড় সবারই পছন্দ। লটকন শুধু মুখরোচক নয় পুষ্টিগুণেও ভরপুর। লটকন হচ্ছে ভিটামিন এ ও সি-এর পরিপূর্ণ ভান্ডার। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রন। আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়ক , দাঁতের মাড়ি ও হাড় মজবুত করে, হজমে সহায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় , ত্বক সতেজ রাখে, বলিরেখা দূর করে এবং চোখের জন্য উপকারী। শিশুর বিকাশেও লটকনের পুষ্টিগুণ গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। লটকন অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা বা এসিডিটির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমাণমতো খাওয়াই ভালো। বাংলাদেশের বেশ কিছু অঞ্চলে, যেমন চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় লটকনের চাষ হয়। এটি একদিকে যেমন কৃষকের আয় বৃদ্ধির উৎস, অন্যদিকে স্থানীয় ও বিদেশি বাজারে রপ্তানিযোগ্য ফল হিসেবেও পরিচিতি পাচ্ছে। লটকন শুধু মৌসুমি স্বাদের ফল নয়, এটি একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও সম্ভাবনাময় দেশি সম্পদ। বাজারে যখন দেখা মেলে টুকটুকে হলুদ লটকনের, তখন তা শুধু জিভ নয়, পুষ্টির চাহিদাও মেটায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত হোক এই মিষ্টি-টক দেশের ফল। এনএইচ/ |