রাস্তার সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে দুর্গাপুরে মানববন্ধন
প্রকাশ:
১৫ জুন, ২০২৫, ০৯:২৮ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর থেকে মুন্সিপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনগণ রোববার (১৫ জুন) বিকেলে ভাদুয়া এলাকায় ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। দুর্গাপুরের এই রাস্তাটি গত দুই মাস ধরে সংস্কারের কাজ বন্ধ রয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তার বড় বড় গর্ত এবং কাঁদায় ভরা অবস্থায় এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, ফলে প্রতিদিনই ঘটে ছোটবড় দুর্ঘটনা। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী মাদরাসা শিক্ষক মুফতী হারুনুর রশীদ খান বলেন, “দুর্গাপুর শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি এখন অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। চিকিৎসার জন্য রোগী নিয়ে যেতে পারছি না, হেঁটে চলাচল করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুম আসছে, যদি দ্রুত রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন না করা হয়, তবে বড় সমস্যায় পড়তে হবে আমাদের।” ভাদুয়া বাজারের ধান ব্যবসায়ী বাদল সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ধান বিক্রি করতে পারছি না, কারণ রাস্তা ভালো না থাকার কারণে বাড়ি বসে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কোনো ক্ষতি কেউ পুষিয়ে দেবে কি? আগামীতে ধান রোপন করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। যদি রাস্তা সংস্কার করা না হয়, তবে আমরা দুর্গাপুর ঘেরাও করব।” ডাঃ আক্তারুজ্জামান দুলাল বলেন, “প্রসূতি মায়েদের চেকআপ, রক্ত পরীক্ষা এবং জরুরি চিকিৎসা সুবিধার জন্য দুর্গাপুর উপজেলা শহর একমাত্র মাধ্যম। রাস্তা ভালো না থাকার কারণে আমাদের যাতায়াত খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে পুরো রাস্তা কাঁদায় পরিণত হয়ে যায়। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, অনেকসময় আমাদের হেঁটেই চলতে হয়। আমরা দাবি জানাচ্ছি, এই রাস্তা দ্রুত সংস্কার করা হোক।” মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী জিয়াউর রহমান বলেন, “এ অঞ্চলে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয় এবং তিনটি স্নাতক পর্যায়ের মাদরাসা রয়েছে। কিন্তু রাস্তা খারাপ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না। প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। সামনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, তবে রাস্তা সংস্কার না হলে অনেক শিক্ষার্থীই পরীক্ষা দিতে পারবে না। আমরা দ্রুত সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।” মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন অটোরিকশা চালক হারুনুর রশীদ, বাইক চালক মো. বিল্লাল হোসেন, শিক্ষক আব্দুল হাকিম, মুফতী মাসুম বিল্লাহ, মুফতী মাহমুদ হাসান, মাওলানা এখলাস উদ্দিন প্রমুখ। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “কৃষ্ণপুর থেকে মুন্সিপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারের জন্য প্রায় আট কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রাস্তার দুই তৃতীয়াংশ অংশ খোদাই করা হয়েছে। তবে বালু সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কাজটি কিছুদিন বন্ধ ছিল। আমরা ইতোমধ্যে ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছি এবং দ্রুত কাজটি শুরু করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হবে।” এমএইচ/ |