অ্যান্টিবায়োটিকের ভালো-মন্দ 
প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান

অ্যান্টিবায়োটিক হলো এমন এক ধরনের ওষুধ, যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এটি ২০শ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। তবে যেমন এর সুফল রয়েছে, তেমনি অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে তা হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ।

ভালেো দিক

১. সংক্রমণ প্রতিরোধে:  

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে বা তাদের ধ্বংস করে। নিউমোনিয়া, টনসিল, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনসহ নানা সংক্রমণে এটি অত্যন্ত কার্যকর।

২. জটিল অস্ত্রোপচারে সহায়ক:  

সার্জারির পর ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইনফে|কশন প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৩. জীবন রক্ষা:  

সঠিক রোগ নির্ণয় ও সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বহু রোগীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।

মন্দ দিক:

১. প্রতিরোধক্ষমতা :  

অতিরিক্ত বা ভুলভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে সেই ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে ভবিষ্যতে তা আর কাজ করে না।

২. সাইড এফেক্ট:  

ডায়রিয়া, এলার্জি, বমি, ত্বকে র‌্যাশ ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে তা মারাত্মক আকারও নিতে পারে।

৩. উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতি:  

অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের প্রয়োজনীয় ভালো ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে ফেলে, ফলে হজম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

সতর্কতা ও পরামর্শ:

- শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করুন

- কোর্স অসম্পূর্ণ রাখা যাবে না  

- ঠান্ডা, সর্দি বা ভাইরাসজনিত রোগে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না  

- কোনো অ্যান্টিবায়োটিক একাধিকবার ব্যবহারের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। 

মনে রাখবে, অ্যান্টিবায়োটিক একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার হলেও এর ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি। যথাযথ ব্যবহারে এটি জীবন বাঁচায়, আর ভুল ব্যবহারে সৃষ্টি করে নতুন বিপদ।  

 এনএইচ/