গাজায় মৃত্যু মিছিল দীর্ঘায়িত, অনাহারে প্রাণ হারাচ্ছে শিশু-কিশোররা
প্রকাশ: ২৫ জুলাই, ২০২৫, ১২:৪৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬২ জন, যাদের মধ্যে ১৯ জন ছিলেন খাদ্য সহায়তা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া চরম অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে আরও দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর এ পর্যন্ত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি অনাহার ও অপুষ্টির কারণে মারা গেছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এ মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু।

চলতি বছরের মার্চে গাজার ওপর পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। এরপর মে মাসের শেষদিক থেকে সীমিত পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এতে ভয়াবহ খাদ্য সংকট ও মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, গাজায় পরিবারগুলো ধ্বসে পড়ছে। সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, “অভিভাবকরা নিজেরাই এতটাই ক্ষুধার্ত যে সন্তানদের যত্ন নেওয়ার শক্তিও তাদের নেই।”

জাতিসংঘের আরেক সংস্থা ওআইসিএইচএ জানায়, ইসরায়েল তাদেরকে ত্রাণ কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছানো সহায়তা যাচাইয়ের অনুমতি দিচ্ছে না, ফলে বাস্তব পরিস্থিতির সঠিক চিত্র তুলে ধরাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

গাজা থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি হানি মাহমুদ জানান, গোটা গাজা এখন ক্ষুধা, পানি সংকট ও চিকিৎসাসেবার অভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না, শিশুরা মারা যাচ্ছে অপুষ্টিতে।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও পরিস্থিতি উন্নয়নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা গাজার মানুষের জন্য অবিলম্বে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা, UNRWA, OCHA.

এসএকে/