খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৪
প্রকাশ:
২৬ জুলাই, ২০২৫, ০১:৫২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম নাড়াইছড়ি এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জোড়া সিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া জানান, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-এর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, ইউপিডিএফের সশস্ত্র গ্রুপ কমান্ডার বিপ্লব চাকমার নেতৃত্বে প্রায় ৪০-৪৫ জনের একটি দল এবং জেএসএসের কমান্ডার জয়দেব চাকমার নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জনের আরেকটি দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ওসি আরও জানান, ইউপিডিএফের সামরিক শাখা 'গণমুক্তি ফৌজ' বা 'পিপলস লিবারেশন আর্মি’র অন্তত চারজন সদস্য এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে, ইউপিডিএফ পক্ষ থেকে এই ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করা হয়েছে। শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, “এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে কোনো সামরিক শাখা পরিচালনা করে না। ‘গণমুক্তি ফৌজ’ নামে আমাদের কোনো শাখা নেই—এ ধরনের তথ্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” তিনি দাবি করেন, ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই একটি মহল মিথ্যাচার চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর জেএসএসের অভ্যন্তরীণ বিরোধ থেকে ইউপিডিএফ গঠিত হয়। এরপর থেকে এই দুই সংগঠনের মধ্যে বহুবার সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে। ২০১৬ সালে একসময় উভয়পক্ষের মধ্যে অলিখিত সমঝোতা হলেও পরে আবার বিভাজন শুরু হয়। জেএসএস থেকে বেরিয়ে আসে ‘জেএসএস (এমএন লারমা)’ এবং ইউপিডিএফ ভেঙে গঠিত হয় ‘ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)’। ফলে পার্বত্য এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এসএকে/ |