দই খাওয়া নিয়ে চিকিৎসকদের জরুরি সতর্কতা
প্রকাশ:
২৮ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
গরমে এক বাটি ঠান্ডা দই যেন স্বস্তির আরেক নাম! দই শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিগুণেও পরিপূর্ণ। তবে প্রতিদিন দই খাওয়া আপনার শরীরের জন্য উপকারী না ক্ষতিকর—তা নির্ভর করছে কী ধরনের দই আপনি খাচ্ছেন এবং কীভাবে খাচ্ছেন তার ওপর। মিষ্টি দই না টক দই—কোনটা খাবেন? কলকাতার খ্যাতনামা চিকিৎসক ডা. রুদ্রজিৎ পাল দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও এর উপকারিতা-অপকারিতা নিয়ে তুলে ধরেছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। মিষ্টি দই: যতটা সুস্বাদু, ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ ডা. পাল বলেন, “দই অত্যন্ত উপকারী, তবে প্রতিদিন মিষ্টি দই খাওয়া উপকারের বদলে ক্ষতি করতে পারে।” কেন? মিষ্টি দইয়ে সাধারণত অতিরিক্ত চিনি ও বনস্পতি (উদ্ভিজ্জ ঘি) যোগ করা হয়। চিনি বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। বনস্পতিতে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট হূৎপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর, যা কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। সুতরাং, প্রতিদিন মিষ্টি দই খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। টক দই: স্বাস্থ্যকর পছন্দ টক দই সম্পর্কে ডা. পাল বলেন, “এই দইটি প্রতিদিন খাওয়ার মতো স্বাস্থ্যসম্মত।” কেননা— এটি উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ, যা পেশি গঠনে সাহায্য করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়।হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। কতটা ও কখন খাবেন? প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম টক দই খাওয়া উপকারী। খাওয়ার ১০-১৫ মিনিট পর দই খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলের রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দই খাওয়ার রুটিন নির্ধারণ করবেন। এনএইচ/ |