সমকামী এক্টিভিস্ট কর্তৃক দুই শিক্ষককে হত্যার হুমকির তীব্র নিন্দা 
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:০০ রাত
নিউজ ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূল্যবোধ আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস-এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য হত্যার হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন। এই ধরনের চরমপন্থী, অমানবিক ও নৃশংস হুমকিকে দেশের সামাজিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ (১৩ আগস্ট ) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছি যে, 'অ্যান্টার্কটিকা চৌধুরী' নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দুই বিশিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভয়াবহ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ড. সরোয়ার হোসেনের খণ্ডিত মাথা এবং আসিফ মাহতাব উৎসের শিরচ্ছেদ করা মাথা দিয়ে বীভৎস চিত্র পোস্ট করে যে ভাষায় হুমকি দেওয়া হয়েছে, তা দেশের আইনের শাসন ও সুস্থ সামাজিক পরিবেশের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক ও সমাজসেবক এবং আসিফ মাহতাব উৎস বিভিন্ন গণমুখী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তারা উভয়েই শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক উপায়ে বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষায় কাজ করছেন। এমন দুজন গুণী মানুষের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র সমকামিতার বিরোধিতা করায় এমন ঘৃণ্য হুমকি দেওয়া চরমপন্থী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং আমাদের দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় সমকামিতা একটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে এলজিবিটি কর্মীর পক্ষ থেকে এই ধরনের হুমকি কেবল উদ্বেগজনক নয়, বরং এক ধরনের জঙ্গিবাদ। আমরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই ঘৃণ্য অপরাধের মূল হোতা সাফওয়ান চৌধুরী রেবিলকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

খেলাফত ছাত্র আন্দোলন আশা প্রকাশ করে, সরকার এই গুরুতর হুমকির বিষয়ে কোনো রকম শৈথিল্য প্রদর্শন না করে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সামাজিক শান্তি রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।

এমএইচ/