পুলিশের সামনে অস্ত্র বের করলে গুলির নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
প্রকাশ:
১৪ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:৩০ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
পুলিশের কোনো টহল দলের সামনে কিংবা অভিযানের সময় কেউ অস্ত্র বের করলে দেখামাত্র আত্মরক্ষায় গুলির নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় এসআই আবু সাঈদ রানা আহত হওয়ার পর গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে ওয়্যারলেসে সিএমপির সব সদস্যদের উদ্দেশে তিনি এই মৌখিক নির্দেশ দেন। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের একাধিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওয়ারল্যাস বার্তায় নির্দেশনা দিয়ে হাসিব আজিজ বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে যে অস্ত্রের প্রাধিকার ছিল, ওই অস্ত্রের গোলাবারুদের প্রাধিকার অনুযায়ী থানার মোবাইল পার্টি, প্যাট্রল পার্টি ও ডিবির টিমগুলো সব র্যাংকের পুলিশ অস্ত্র বহন করবে। আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া কোনো মোবাইল, প্যাট্রল, ডিবি ও চেকপোস্ট দল ডিউটিতে বের হবে না।’ অবশ্যই ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগের অস্ত্রের প্রাধিকার অনুযায়ী লাইভ এমুনিশনসহ তাদেরকে বের হতে হবে। প্রাধিকার অনুযায়ী অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং স্যুট পরে তারপর ডিউটিতে যাবে।' তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র রবার বুলেট দিয়ে আমাদের কাজ হচ্ছে না। বন্দরে (বন্দর থানা) আমার একজন সাব-ইন্সপেক্টর গুরুতর আহত হয়েছেন। আরেক দিন আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। আমি সবাইকে বলে দিয়েছি। বন্দর থানার সাব ইন্সপেক্টর যে পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন, ওই পরিস্থিতিতে কেউ পড়লে কোনো অবস্থাতেই যেন দু-চারটা লাশ ছাড়া মোবাইল পার্টি, প্যাট্রল পার্টি ফেরত না আসে। সোজা কথা, পুলিশের কোনো টহল পার্টির সামনে অস্ত্র বের করা মাত্র, আই রিপিট, অস্ত্র বের করা মাত্র, সেটা আগ্নেয়াস্ত্র হতে পারে বা সেটা ধারালো অস্ত্র হতে পারে। অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি হবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই, এটা সবাইকে বলে দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ধারালো অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র পুলিশের টহল পার্টির সামনে বের করা মাত্র গুলি করবে। আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার, দণ্ডবিধি ৯৬ থেকে ১০৬ পর্যন্ত, আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার সব পুলিশ অফিসারের আছে। অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়ার আগে অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি হবে। হয় মাথায়, নয়তো বুকে নয়তো পিঠে করবে। সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমার মেসেজ ক্লিয়ার হয়েছে।’ পুলিশ সূত্র জানায়, গত সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার সল্টগোলা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করার তথ্য পেয়ে অভিযানে যায় বন্দর থানার এসআই রানার নেতৃত্বে একটি টিম। এই সময় তল্লাশি চালাকালে রানার মাথায় ধারলো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে বন্দর থানা এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ছুরি, ধারালো অস্ত্রসহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কমশিনার হাসিব আজিজ এক ওয়্যারলেস বার্তায় এসব নির্দেশনা দেন। এ বিষয়ে জানার জন্য আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজকে ফোন দেওয়া হলেও রিসিভি করেননি। এমএইচ/ |