শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় দেশে দেশে প্রিয়নবীকে স্মরণ
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মুমিনের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আস্থার ঠিকানা প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুর স্মৃতিবিজড়িত দিন আজ। পালিত হচ্ছে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল। দেশে কোটি কোটি মুসলিম তাঁকে স্মরণ করছে নানা আয়োজনে।

সারা ইয়েমেনজুড়ে ধর্মীয় শ্রদ্ধা ও আবেগঘন পরিবেশে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করেছেন মুসলিমরা। ৪ সেপ্টেম্বর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিন উপলক্ষে লাখো মানুষ দেশব্যাপী একত্রিত হয়ে দিনটি স্মরণ করেন। ৭০টিরও বেশি স্থানে জমায়েত হয়ে মানুষ সবুজ পতাকা উড়িয়ে ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে এই পবিত্র দিনটি পালন করেন।

রয়টার্সকে এক হুথি সমর্থক জানান, এদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হন। অনেকেই সকাল ৯টা বা ১০ টার দিকেই সেখানে আসতে শুরু করেন এই মহান দিনটির তাৎপর্যকে অনুভব ও স্মরণীয় করে তুলতে।

৩ সেপ্টেম্বর ইরাকের বাগদাদ ও মসুল শহরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুসলিমদের জমায়েত হয়। বাগদাদের আধামিয়া অঞ্চলে অবস্থিত ঐতিহাসিক আবু হানিফা মসজিদের সামনে লোকজন মোমবাতি প্রজ্বালন করেন এবং ধর্মীয় সংগীত ও কাসিদা পাঠে অংশ নেন। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এ রীতির মাধ্যমে তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখছেন। অন্যদিকে, মসুলে নবনির্মিত আল-নূরি গ্রেট মসজিদেও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিসরের কায়রোর বাব আল-বাহর অঞ্চলে নবী কারিম (সা.)-এর জন্মদিন উপলক্ষে কারিগরেরা ঐতিহ্যবাহী চিনির পুতুল ও ঘোড়া তৈরি করে উদযাপনের প্রস্তুতি নেন। বহু প্রজন্ম ধরে জনপ্রিয় এ মিষ্টান্ন তৈরি হয় চিনি, পানি, লেবু ও লবণের সংমিশ্রণে। মিশ্রণটি ছাঁচে ঢেলে জমিয়ে ফেলা হয়। এভাবে তৈরি করা হয় বিভিন্ন আকৃতির চিনির পুতুল। সাধারণত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আসার কয়েক সপ্তাহ আগেই এই বিশেষ মিষ্টান্ন তৈরি ও বিক্রি শুরু হয়।

কায়রোর এক কারিগর রয়টার্সকে জানান, তারা বহু পুরনো এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যদিও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এখন পুতুলগুলোর সঙ্গে আধুনিক উপাদান যোগ করা হচ্ছে। ঐতিহাসিকদের মতে, চিনির তৈরি এই পুতুল ও ঘোড়া প্রথম তৈরি হয়েছিল ফাতেমীয় শাসনামলে। অনেক ক্রেতা বলেন, এসব পুতুল এখন শিশুদের কাছে একটি আকর্ষণীয় উপহার, যদিও তারা এর পুরনো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে খুব একটা জানে না।

এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম দেশ বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে। প্রিয়নবীর স্মরণে নেওয়া হয়েছে নানা আয়োজন।

আরএইচ/