ভোলায় সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের বর্ণাঢ্য র‍্যালি 
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:১৯ রাত
নিউজ ডেস্ক

হাসনাইন আহমেদ হাওলাদার (ভোলা প্রতিনিধি)

সিরাতুন্নবী (সা.)- এর মহিমা ও শিক্ষা প্রচারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ভোলা শহর শাখার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। 

র‍্যালিটি আসরের নামাজ শেষে শহরের কেন্দ্রীয় বায়তুল রেদয়ান জামে মসজিদ (বড় মসজিদ) প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে গজক (শহরের প্রধান প্রধান সড়ক) প্রদক্ষিণ করে। পরে এটি ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ভোলা শহর শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শহর সেক্রেটারি হাচনাঈন আহমেদ। এ সময় শহর শাখার বিভিন্ন দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও শত শত কর্মী র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন তার বক্তব্যে বলেন,
‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন মানবতার জন্য অনুপম দৃষ্টান্ত। তিনি ছিলেন সত্য, ন্যায় ও শান্তির পতাকাবাহী। আজকের এই সমাজকে যদি আমরা শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, তবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।’ 

শহর সেক্রেটারি হাচনাঈন আহমেদ বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে আলোর পথে আনতে হলে রাসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শই যথেষ্ট। সীরাত চর্চার মাধ্যমেই যুব সমাজ আত্মশুদ্ধি, নৈতিকতা ও নেতৃত্বে অগ্রসর হতে পারবে।’ 

র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা হাতে বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও শ্লোগানের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। ব্যানারে কুরআনের আয়াত, রাসুল (সা.)-এর জীবন থেকে দিকনির্দেশনা ও মানবতার বার্তা লিপিবদ্ধ ছিল। 

স্থানীয় জনগণও র‍্যালিটি উপভোগ করেন এবং রাসুল (সা.)-এর জীবনীভিত্তিক এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

এসএকে/

র (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের গণছুটিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-দপ্তর সম্পাদক অঞ্জু রানী মালাকার।

তিনি অভিযোগ করেন, একাধিকবার কমিটি গঠনসহ সংকট সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী আশ্বাস দেওয়া হলেও কিছুই বাস্তবায়ন করেনি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। উপরন্তু আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, বদলি, বরখাস্তসহ নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে হয়রানি করছে। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্ত করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত আদেশ বাতিল এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তারা। এসময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

চার দফা দাবি:
১। আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় কোম্পানি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত (মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক ও পৌষ্য বিলিং সহকারী) কর্মীদের নিয়মিতকরণ, মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল, সব সংযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্ত করা এবং অন্যায়ভাবে বদলি করাদের পদায়ন বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল পূর্বক বাস্তবায়নের করতে হবে।

২। গত ১৭ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি হয়রানীমূলকভাবে চাকরিচ্যুত, বরখাস্ত করা ও সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত আদেশ বাতিলপূর্বক পূর্বের কর্মস্থলে পদায়ন করতে হবে।

৩। জরুরি সেবায় নিয়োজিত লাইনক্রুদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিকালীন যোগদান করতে না পারা পাঁচ লাইন ক্রুকে পূর্বের কর্মস্থলে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট ১৪ কোটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমের সংস্কারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

এসএকে/