কলকাতায় বাংলাদেশি ইলিশের দাম চড়া, আগ্রহ হারাচ্ছে ক্রেতারা
প্রকাশ:
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:৪৯ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানির খবর শুনে কলকাতার মানুষ খুশি হলেও চড়া দামের কারণে তাদের আগ্রহ দ্রুত কমে গেছে। এতে করে আমদানিকারকরা নতুন করে ভাবছেন—আর ইলিশ আনা হবে কি না। শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কলকাতার বাজারে বাংলাদেশি ইলিশের প্রতি ক্রেতাদের তেমন সাড়া ছিল না। এরপর শুক্রবার লেক মার্কেট, গারিয়াহাট ও মানিকতলার খুচরা ব্যবসায়ীরা হাওয়ার পাইকারি বাজার থেকে মাত্র ৫ থেকে ২৫ কেজি পর্যন্ত ইলিশ তুলেছেন। বর্তমানে কলকাতায় বাংলাদেশের এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ রুপিতে (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০)। অন্যদিকে একই সাইজের গুজরাটি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ১০০ রুপিতে। বাজারে মিয়ানমারের হিমায়িত ইলিশও প্রস্তুত আছে, যার দাম প্রায় ১ হাজার ৫০০ রুপি। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, গুজরাট থেকে বড় চালান এলে বাংলাদেশি ইলিশের চাহিদা আরও কমবে। কলকাতার মাছ আমদানি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আনোয়ার মাসুদ বলেন, “বাংলাদেশি ইলিশের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এই দামে খুব কম মানুষই কিনতে পারবে।” তিনি জানান, আগামী সোমবার পর্যন্ত বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাংলাদেশি ইলিশ আমদানি অব্যাহত রাখা হবে কি না। গত মঙ্গলবার পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৫০ টন বাংলাদেশি ইলিশ ভারতে যায়। তবে শুক্রবার পর্যন্ত মাত্র ২০ টন ইলিশ ঢুকেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী অমর দাস বলেন, “ডায়মন্ড হারবার থেকে যদি ভালো সাইজের মাছ পাই, তাহলে আমি ১০০ কেজি কিনতে পারি। কিন্তু এবার মাত্র ২০ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ নিয়েছি। ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, তাই বেশি স্টক রাখা লাভজনক নয়।” মানিকতলার রাজু দাসের ভাষায়, “বাংলাদেশি মাছের গঠন ভালো হলেও আকার ছোট, দাম বেশি। ডায়মন্ড হারবারের মাছ থাকলে বাংলাদেশি ইলিশের কোনো ক্রেতাই থাকবে না।” তবে এখনো কিছু মানুষের কাছে বাংলাদেশি ইলিশের আলাদা কদর আছে। যেমন আয়ুস্মান মুখার্জি শুক্রবার ২ হাজার ৫০ রুপি দিয়ে একটি ইলিশ কিনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া এমএইচ/ |