
| 	
        
			
							
			
			  বুজুর্গ আলেমের সঙ্গে মুসাফাহার সময় হাতে চুমু খাওয়া প্রসঙ্গে  
			
			
	
			
										প্রকাশ:
										০৫ অক্টোবর, ২০২৫,  ১০:০৯ রাত
					 
			
			
			
			নিউজ ডেস্ক  | 
		
			
			
			
			
			 
	   
	      
 লাজ্জাস আল-হাবীব মুসাফাহা করার সময় কোনো বুজুর্গ আলেমের হাতে চুমু দেওয়া যাবে কি না এ ব্যাপারে অনেকের মনে কৌতূহল রয়েছে। ইসলামি শরিয়তে হাত চুম্বনের প্রথা বহু বছর ধরে প্রচলিত। এটি এক প্রকার সম্মান ও বরকতের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে কখন এটি অনুমোদিত এবং কখন অপছন্দনীয়, এ নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা যায়। ইসলামি ফিকহের বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, হাত চুম্বনের উদ্দেশ্য ও প্রাপকের মর্যাদা অনুযায়ী এর আইন ভিন্ন। আলেম ও ধার্মিক ব্যক্তির প্রতি সম্মান একজন মানুষ যদি কোনো আলেম বা ধার্মিক ও অভিজ্ঞ ব্যক্তির হাত চুম্বন করে, তাতে কোনো আপত্তি নেই। এটি মূলত বরকতের উদ্দেশ্যে করা হয়। [রদ্দুল মুখতার, যাকারিয়া ৯/৫৭৯] ন্যায়পরায়ণ শাসক বা জ্ঞানীর প্রতি সম্মান যদি কেউ কোনো আলিম বা ন্যায়পরায়ণ শাসকের হাত চুম্বন করে, তা তাদের জ্ঞান ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে করা হয়, এতে কোনো সমস্যা নেই। [ফতোয়ায় আহলে সামারকান্দ] সাধারণ মুসলিমকে সম্মান দেখানো যদি কোনো সাধারণ মুসলিমের প্রতি সম্মান দেখাতে বা তাকে মান্যতা দিতে হাত চুম্বন করা হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। লাভ বা স্বার্থের উদ্দেশ্যে হাত চুম্বন কিন্তু যদি কোনো মানুষ এমন উদ্দেশ্যে হাত চুম্বন করে যে তা আল্লাহর ইবাদত হিসেবে বা কোনো বস্তুগত লাভের জন্য, তবে তা অপছন্দনীয় (মাকরূহ)। মোটকথা, আলেম বা ন্যায়পরায়ণ শাসকের হাতে চুম্বন বরকতের উদ্দেশে করলে জায়েজ। সাধারণ মুসলিমকে সম্মান দেখাতেও কোনো সমস্যা নাই। তবে যদি উদ্দেশ্য হয় আল্লাহর ইবাদত বা দুনিয়ার কোনো লাভের জন্য, তাহলে তা মাকরূহ। [ফতোয়ায় হিন্দিয়া ৫/৩৬৯] আরএইচ/  |