
| 	
        
			
							
			
			  সৌদির হজ এজেন্সির কাছে আটকে থাকা ৩৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ  
			
			
	
			
										প্রকাশ:
										১৩ অক্টোবর, ২০২৫,  ০৩:৪৫ দুপুর
					 
			
			
			
			নিউজ ডেস্ক  | 
		
			
			
			
			
			 
	   
	      
 সৌদি আরবে হজ এজেন্সিগুলোর কাছে আটকে থাকা প্রায় ৩৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। খালিদ হোসেন জানান, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ‘মাসার নুসুক’ প্ল্যাটফর্মের আইবিএএন (ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর)-এ বাংলাদেশের ৯৯০টি হজ এজেন্সির অব্যয়িত অর্থ জমা ছিল। সেখান থেকে মোট এক কোটি ২৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৮ সৌদি রিয়াল ও ৫৭ হালালা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ফেরত পাওয়া গেছে। এ অর্থ ইতোমধ্যে সৌদি আরবের বাংলাদেশ হজ অফিসের নুসুক প্ল্যাটফর্মের আইবিএএন থেকে বাংলাদেশ হজ অফিসের সৌদি ফ্রান্সি ব্যাংকে পরিচালিত হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়েছে। উপদেষ্টা জানান, ৯৯০টি এজেন্সির মধ্যে ৮৩১টির ব্যাংক হিসাব পাওয়া গেছে—তাদের অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হবে। বাকি ১৫৬টি এজেন্সির ব্যাংক তথ্য চাওয়া হয়েছে, তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে তাদেরও টাকা ফেরত দেওয়া হবে। একটি এজেন্সি সর্বাধিক ৪৫ লাখ টাকা, আর একটি সর্বনিম্ন ২ টাকা ফেরত পাবে বলে জানান তিনি। ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরের জমে থাকা অব্যয়িত অর্থ ফেরত আনতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ধারাবাহিক উদ্যোগ ও সদিচ্ছার প্রতিফলন এটি। ২০২৫ সালের সফল হজ ব্যবস্থাপনার মতো ভবিষ্যতেও আমরা আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ তিনি জানান, বাংলাদেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি হজযাত্রী বেসরকারি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করে থাকেন। সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব এজেন্সি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে সৌদি মন্ত্রণালয়ের নুসুক প্ল্যাটফর্মের আইবিএএন-এ হজের খরচ জমা দেয়। বর্তমানে সেখানে মোট ১,৩৩৯টি বাংলাদেশি এজেন্সি নিবন্ধিত। উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ৭–৮ বছরে এসব এজেন্সি সৌদি প্রান্তের হজ খরচ বাবদ যে অর্থ পাঠিয়েছে, তার কিছু অব্যয়িত ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা সৌদি সরকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করি—চিঠি, বৈঠক ও সরাসরি অনুরোধের মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা অবশেষে টাকা ফেরত দিয়েছে।’ এ অর্থ হজযাত্রীদের ফেরত দেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘এজেন্সিগুলো অনেক সময় অতিরিক্ত অর্থ পাঠায়, যাতে প্রয়োজনীয় খরচে ঘাটতি না হয়। তাই এটি তাদের বাণিজ্যিক হিসাবের অংশ, হজযাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত নেওয়া অর্থ নয়।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার সুশাসন, স্বচ্ছতা ও আস্থার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এলএইস/  |