
|
কেটে-ছেঁটে ইসলাম উপস্থাপনকারীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ: জমিয়ত
প্রকাশ:
২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:০৪ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
ইদানীং আমাদের সমাজে ধর্মীয় ও নৈতিক সীমালঙ্ঘনসহ নানা ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতা গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এক শ্রেণির সুবিধাবাদী মহল বাদশাহ আকবরের দ্বীন-ই-ইলাহী নামক বিকৃত মতবাদের ছায়ায় ইসলামকে নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করতে চাইছে। ইসলামকে কেটে-ছেঁটে, ইসলামি আকিদা ও বিধানকে হালকা করে, তথাকথিত উদারতার নামে তারা ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য ও মুসলিম জাতিসত্তা ধ্বংসে লিপ্ত হয়েছে। এদেরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় না দেশের আপামর ধর্মপ্রাণ জনগণ। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বাদ মাগরিব রাজধানীর পুরানা পল্টনে জমিয়তের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় আমেলা ও মহানগরের যৌথ বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, কাদিয়ানি সম্প্রদায় ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস খতমে নবুওয়ত অস্বীকার করে। তারা মুসলমান নয়, বরং মুসলমানদের ছদ্মবেশে বিভ্রান্তি ছড়ায়। তাই কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা আজ সময়ের দাবি। পাকিস্তানসহ অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশেও এটি বাস্তবায়ন করা আবশ্যক, যাতে করে মুসলিম সমাজ বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা পায়। নেতারা আরও বলেন, ইসকন নামধারী একটি সংগঠন সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দু তরুণদের মুসলিম কিশোরী ও ছাত্রীদের সঙ্গে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ ও ধর্ষণের মত গর্হিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। এটি শুধু ধর্মীয় শিষ্টাচার নয়, বরং দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য চরম হুমকি। সরকার ও প্রশাসনের উচিত এসব ঘটনা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।যেন তারা ইসলামি মূল্যবোধ, খতমে নবুওয়তের প্রতি বিশ্বাস এবং দেশের ধর্মীয় ঐতিহ্য রক্ষায় সতর্ক থাকেন এবং সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। এনএইচ/ |