
| 	
        
			
							
			
			  মাহফিলে রাজনৈতিক নেতাদের ‘ওয়াজ’ পরিষ্কার জুলুম  
			
			
	
			
										প্রকাশ:
										০৩ নভেম্বর, ২০২৫,  ১১:২৮ দুপুর
					 
			
			
			
			নিউজ ডেস্ক  | 
		
			
			
			
			
			 
	   
	      
 ||মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী|| স্থানীয় নেতাকর্মী কিংবা নির্বাচনী প্রার্থী। নিজের প্রচারণায় অনেকেই ওয়াজ মাহফিলগুলোতে আসেন। আমি এটাকে খারাপ চোখে দেখি না। দুয়েক মিনিট কথা বলতে চান, এটাও কিছুটা মানা যায়। তিনি দাঁড়িয়ে সবার থেকে দোয়া নিলেন, নিজের জন্য দোয়া চাইলেন, ব্যাস মাইক ছেড়ে দিলেন। কিন্তু নেতা বা প্রার্থী যখন বক্তার চেয়ারে বসে ওয়াজ করতে শুরু করে দেন, সেটা শুধু দৃষ্টিকটু না বরং রীতিমতো চরম বিরক্তিকর। কিছু কিছু নেতা তো নিজের বিশাল জ্ঞান জাহির করার জন্য বাংলা ভাষায় কোরআন তেলাওয়াত করেন। এরপর ভুলভাল তরজমা ও ব্যাখ্যা করে লম্বা সময় কাটান। সবাইকে আল্লাহকে ভয় করার, নবীর সুন্নত মানার, সেই সাথে নিজের সন্তানকে মাদরাসায় পড়ানোর নসিহত করেন। দাড়িহীন এসব নেতা বেশির ভাগই টাখনুর নিচে পায়জামা পরে এসে থাকে। পরিষ্কার গুনাহে লিপ্ত অবস্থায় মূল বক্তার সময় নষ্ট করে এমন সব ওয়াজ করেন যেটা তিনি নিজেই আমল করেন না। এরপর শুরু করেন রাজনৈতিক বক্তব্য। দ্বিচারিতা হলো: বক্তার চেয়ারে বসে নেতা সাহেব রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে পারবে কিন্তু বক্তা সেই চেয়ারে বসে রাজনৈতিক সচেতনতামূলক কোনো কথা বলতে পারবে না। এক্ষেত্রে ‘মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া যাবে না’ এই মহান বাণী তেলাওয়াত করেন প্রায় সব নেতা। অনেক বক্তারা ওয়াজ মাহফিলকে রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত করেন, এটা যেমন জুলুম, তেমনি ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক নেতাদের ওয়াজ করতে শুরু করাও পরিষ্কার জুলুম। লেখক: পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা এনএইচ/  |