জমিয়তের কোন কোন নেতাকে ছাড় দিচ্ছে বিএনপি?
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:১৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

||বিশেষ প্রতিনিধি||

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭টি আসনে প্রাথমিকভাবে সোমবার (৩ নভেম্বর) সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটি ৬৩ আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। এর ব্যাখ্যায় বিএনপি বলেছে, তাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলনে ছিল সে দলগুলোকে কিছু আসনে ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়া প্রার্থী জটের কারণেও কিছু কিছু আসনে জটিলতা রয়েছে। ফলে এসব আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।

বিএনপির ফাঁকা রাখা আসনগুলোতে কারা ছাড় পাচ্ছেন সেটা নিয়ে চলছে আলোচনা। এই আলোচনার শীর্ষে রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। এই মুহূর্তে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে একমাত্র জমিয়তই ঘোষণা দিয়ে বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। ফলে দলটি আশা করছে, আগামী নির্বাচনে বেশ কিছু আসনে ছাড় পাওয়া যাবে বিএনপি থেকে।

জমিয়ত নেতাদের মধ্যে বিএনপির কাছ থেকে ছাড় পাওয়ার শীর্ষে রয়েছেন দলের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। তিনি সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন। এই আসনটি বিএনপি ফাঁকা রেখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, জমিয়ত সভাপতিকে আসন ছাড় দেবে বিএনপি।

সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর) আসনেও কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। এই আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। তিনিও এই আসনে ছাড় পেতে পারেন।

জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জরুল ইসলাম আফেন্দীর নির্বাচনী এলাকা নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা)। এই আসনেও কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি।  এখানেও জমিয়ত মহাসচিবকে ছাড় দিতে পারে দলটি।

বিএনপির কাছ থেকে পাওয়া আসনগুলোর মধ্যে বেশ আলোচিত নারায়ণগঞ্জ-৪। এই আসনে জমিয়তের প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মনির হোসেন কাসেমী। তিনি অবশ্য ২০১৮ সালেও এই আসনে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। এবারও তিনি জমিয়তের প্রার্থী। এবং জমিয়তকে বিএনপি যে কয়টি আসনে ছাড় দিতে পারে বলে আলোচনা আছে এর মধ্যে রয়েছে শামীম ওসমানের আসন হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটিও। এই আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি। শেষ পর্যন্ত হেফাজত ও জমিয়ত নেতা মাওলানা মনির হোসেন কাসেমী ছাড় পেতে পারেন আসনটিতে।

আলোচনায় রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনও। এই আসনে জমিয়তের প্রার্থী মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব। বিএনপির আলোচিত নেত্রী রুমিন ফারহানা এই আসনে প্রার্থী হলেও বিএনপি আসনটি ফাঁকা রেখেছে। শেষ পর্যন্ত এই আসনেও বিএনপির কাছ থেকে ছাড় পেতে পারে জমিয়ত।

সুনামগঞ্জ-২ (শাল্লা-দিরাই) আসনে জমিয়তের প্রার্থী ইউরোপ জমিয়তের সভাপতি ড. মাওলানা শুয়াইব আহমদ। এই আসনেও বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি। এখানে ছাড় পাওয়ার আলোচনা আছে।

এর বাইরে জমিয়তের অপর অংশ শুরু থেকেই বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। সেই অংশটিও দুয়েকটি আসনে ছাড় পেতে পারে। এর মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসন। এই আসনে জমিয়তের (একাংশ) প্রার্থী মাওলানা রশিদ বিন ওয়াক্কাস। তিনি বিএনপির ছাড় পেতে পারেন বলে জোড় প্রচারণা রয়েছে।

এনএইচ/